ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সাংবাদিক ইব্রাহীম মেঘনা থেকে,রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ :
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার পাড়ারবন্দ, কাঠালিয়া, শেখেরগাঁও, রামপ্রসাদেরচর ও চালিভাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দেড়যুগ ধরে অবৈধভাবে একটি মহল নৌপথে চাঁদাবাজি করে আসছে। এই চাঁদাবাজি বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের গড়িমসি ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব দেখা দিয়েছে।
Advertisement
স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁদাবাজরা নদীপথ দিয়ে চলাচলরত বাল্কহেড, মালবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও জেলেদের থেকে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে, যা এখন একটি নিয়মিত কার্যক্রমে পরিণত হয়েছে। চাঁদাবাজির ভয়ে ভুক্তভোগীরা তাদের নাম প্রকাশ করতে চান না।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তুলাতুলী বাজারের ঘাট থেকে বৈদ্যেরবাজার ঘাট হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন ইমরান ভূইয়া নামের এক পথযাত্রী। তিনি দুই স্থানে চাঁদাবাজি চলতে দেখে মেঘনার প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ইমরান জানান, তিনি রামপ্রসাদেরচর এলাকায় স্পিডবোট দিয়ে বাল্কহেড থেকে এবং নলচর এলাকায় স্টিলের ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে চাঁদা আদায় করতে দেখেছেন।
Advertisement
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা স্পিডবোট ব্যবহার করে নৌযান থেকে চাঁদা আদায় করছে চাঁদাবাজদের নিয়োজিত লোকজন। তারা নৌপথে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে প্রতিদিনের মজুরি ভিত্তিতে। চাঁদা না দিলে নৌযান শ্রমিকদের মারপিট ও মালামাল লুট করার অভিযোগও রয়েছে। এর ফলে শ্রমিকরা জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিয়মিত চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে, চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজামগীর হোসাইন জানিয়েছেন, তিনি এ মাসের ২৩ তারিখে ফাঁড়িতে যোগদান করেছেন। তিনি জানান, নৌপথে চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের ও সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য দিতে অনুরোধ করেন তিনি।
Advertisement
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস ভোরের কাগজকে বলেন, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় মেঘনার নৌপথের চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।