ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ :
হত্যার পর প্রেমিকার দেহকে করা হয়েছিলো ৩৫ টুকরা! ফ্রিজে লুকিয়ে রেখে, ১৮ দিন ধরে ছড়ানো হয় দিল্লির বিভিন্ন জায়গায়। নৃশংস ‘শ্রদ্ধা ওয়ালকার মার্ডার কেস’ নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা ভারতকে। কয়েকদফা পুলিশি জেরার পর, বর্তমানে কারাগারে আটক কথিত প্রেমিক আফতাব পুনেওয়ালা। আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেও, বারবার করছেন বয়ান পরিবর্তন। বর্তমানে রয়েছেন তিহার জেলে, ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবেন হেফাজতে। সমাজের কল্যাণেই, ঠাণ্ডা মাথার এই খুনীর উপযুক্ত শাস্তি চান সর্বস্তরের মানুষ।
Advertisement
ভারতে লিভ-ইন পার্টনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ গুম করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। গ্রেফতার যুবক আফতাব আমীন পুনাওয়ালা (২৮)। নিহত তরুণী ২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকার। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, আফতাব ও শ্রদ্ধা দিল্লিতে লিভ-ইন পার্টনারে ছিলেন। চলতি বছরের ১৮ মে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার এক পর্যায়ে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আফতাব। তারপর মরদেহ ৩৫ টুকরো করে সেগুলোকে রাখার জন্য ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন আফতাব। পরে ১৮ দিনে মেহরাউলি জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় টুকরোগুলো ফেলে আসেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, আফতাব এবং শ্রদ্ধা দুজনেই মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয় তাদের। দক্ষিণ দিল্লির অতিরিক্ত ডিসিপি অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, তিন বছর আগে থেকে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করেন আফতাব এবং শ্রদ্ধা। এর পরেই মুম্বাই ছেড়ে দিল্লি চলে যান। তার কিছু দিন পর থেকে বিয়ের জন্য আফতাবকে চাপ দিতে শুরু করেন শ্রদ্ধা।
Advertisement
কিন্তু আফতাব তাতে রাজি ছিলেন না। সেই নিয়ে রোজই চলত ঝামেলা। গত ১৮ মে তুমুল ঝগড়া বাধে দুজনের। সে সময় শ্রদ্ধাকে গলা টিপে আফতাব খুন করেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের জানায়, আমেরিকার জনপ্রিয় অপরাধমূলক ওয়েবসিরিজ ডেক্সটার দেখে লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। আর খুনের পর প্রমাণ মুছে ফেলতে সাহায্য নিয়েছিলেন সার্চ ইঞ্জিন গুগলের। পুলিশের দাবি, গুগলে সার্চ করে মানবদেহ টুকরো করে কাটা এবং রক্তের দাগ পরিষ্কারের পদ্ধতি খুঁজেছিলেন আফতাব।
সোমবার রাতে আফতাবের গুগল সার্চের পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছে পুলিশ। তবে শুধু ডেক্সটার নয়, লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকরকের খুনের আগে আফতাব একাধিক অপরাধমূলক ছবি ও ওয়েবসিরিজ দেখে পরিকল্পনা করছিলেন বলে তদন্তকারী দলের সদস্যরা মনে করছেন। পুলিশ জানায়, তাকে হত্যার পর দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন তিনি।
Advertisement
টুকরোগুলির পচন এড়ানোর জন্য নতুন একটি ফ্রিজও কিনেছিলেন আফতাব। তার পর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই টুকরোগুলি। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার গ্রেফতার হন আফতাব। তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।