ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নাটোরের গুরুদাসপুর প্রতিনিধি, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ :
নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিল ১০ মাস আগে। প্রতিবেশী দুঃসম্পর্কের অভিযুক্ত নানা জাহিদুল খা (৫০) ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে সপ্তাহ খনেক হলো।
Advertisement
এরই মধ্যে শনিবার (২ সেপ্টম্বর) গুরুদাসপুর স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারের মাধ্যমে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী জন্ম দিয়েছে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান ।শিশুটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমেছে হাসপাতালে। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেজ্ঞ ডাক্তার নারগিস তানজিমা ফেরদৌস ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোজাহিদুল ইসলাম জানান, স্কুল ছাত্রীটি ছোট হওয়ায় মা ও নবজাতককে বাঁচানো নিয়ে টেনশনে ছিলাম। যা হোক অবশেষে সফল অস্ত্রপাচার হয়েছে। মা ও নবজাতক সুস্থ্য রয়েছে। উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের কারণে শিশুটির বাবা-মার সংসার ভেঙে যায়। পরবর্তীতে বাবা ও মা অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর থেকে শিশুটি তার নানীর কাছে থাকতো। এলাকার এক দুঃসম্পর্কের নানা জাহিদুল খা মাঝেমধ্য শিশুটিকে নিয়ে তার ভ্যানে করে স্কুলে আনা নেয়া করতো। পরে ৫ মাস পর শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের মানুষ জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দেয়নি শিশুটি।
Advertisement
তবে পরীক্ষা করার পর গর্ভে সন্তান থাকার কথা জানতে পারে পরিবার। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করালে চিকিৎসক অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানায়। পরে শিশুটি এ ঘটনা তার পরিবারকে খুলে বলে। গত ১৮ জুন শিশুটির দাদী হালিমা খাতুন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সময় পর গত ২৬ আগস্ট সকালে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার হেলেঞ্চা এলাকা থেকে জাহিদুল খাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদুল গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামের মৃত্য কালু খার ছেলে। শিশুটি জানায়, অনেক আগে থেকেই তাকে আদর করতেন নানা জাহিদুল। বিভিন্ন সময়ে খাবার কিনে দিতেন। প্রায়ই তার ভ্যান তাকে স্কুলে আনা-নেয়া করতেন।
Advertisement
ঘটনার দিন স্কুলে যাওয়ার জন্য গোসল করে বাড়ির ভেতর কাপড় পরিবর্তন করছিল শিশুটি। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক জাহিদুল ঘরে ঢুকতেই পেছন থেকে তাকে জাপটে ধরে মুখে গামছা পেঁচিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। ফলে ওই ঘটনা কাউকে বলতে সাহস পায়নি শিশুটি।