১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে সমর্থন দেবে সেনাবাহিনী (ভিডিও)

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ :

শেখ হাসিনার পতনের পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে মূল সংস্কারগুলো করতে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, যাতে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে সে জন্য তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবেন।

Advertisement

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এসব কথা বলেন।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেয়া মূল সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন করতে সাহায্য করার জন্য ‘যাই হোক না কেন’ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, যাতে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
 
গত আগস্টের শুরুতে হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং সেনাবাহিনী কোনো বাধা দেয়নি। আর এতেই শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায় এবং ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর স্বৈরাচারী এই শাসক পদত্যাগ করে প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান।
 
সোমবার রাজধানী ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল ওয়াকার বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
 
একই সঙ্গে সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করার একটি রূপরেখার কথা জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, আমি তার পাশে থাকবো। যাই হোক না কেন। যাতে তিনি তার মিশন সম্পন্ন করতে পারেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের হাল ধরেছেন বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের অগ্রদূত ড. ইউনূস। এরই মধ্যে ১৭ কোটির মানুষের দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করতে বিচার বিভাগ, পুলিশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

 
সেনাপ্রধান বলেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্রে উত্তরণ করা উচিত। তবে এমন সময়সীমার কথা বলার পরপরই ধৈর্য ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। বলেন, আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলব যে সময়সীমার মাধ্যমে আমাদের একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।
 
গত জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নেমে আসে লাখ লাখ শিক্ষার্থী। এ সময় তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনের নামে পুলিশ দমন-পীড়ন চালালে আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। এক সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ যোগ দিলে কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় সরকারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই আন্দালেনে এক হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হন।

Advertisement

গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকার জমজমাট রাস্তায় এখন শান্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু হাসিনা সরকারের নাটকীয় পতনের পর বেসরকারি প্রশাসনের কিছু অংশ এখনো সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি। পুলিশের প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সদস্য এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছেন। তাই দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: রয়টার্স