ঢাকা: ব্যাগ বা পোটলা নিয়ে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে না আসতে বলেছেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাগ নয়, জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে আসবেন। কারণ ব্যাগসহ ঈদগাহ ময়দান ও জাতীয় মসজিদে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের জামাত উপভোগ করবো। সেজন্য মহানগরী জুড়ে চেকপোস্ট, তল্লাশি, মোবাইল, ফুট ও মোটরবাইক পেট্রল জোরদার করা হবে। ঈদের লম্বা ছুটিতে জানমালের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম ও অন্য যেসব জায়গায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সেখানে পোশাক ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহের আশপাশের ছয়টি জায়গায় চেকপোস্ট থাকবে। সব এন্ট্রি পয়েন্টের আগেই চেকপোস্টে তল্লাশি করা হবে। এ ছয় পয়েন্ট পর্যন্ত গাড়ি আনা যাবে না। জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের মুখে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল সার্চ করে প্রবেশ করানো হবে। গত তিনদিন আগ থেকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। বায়তুল মোকাররমে একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
গুলশান হামলাকে ইঙ্গিত করে কমিশনার বলেন, দেশকে ঘিরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক একটি চক্র সক্রিয়। দেশকে অস্থিতিশীল ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে এ হামলা। তদন্ত করছি। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণকারী, অর্থদাতা, আশ্রয়দাতা সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে কাজ করছে।
এ হামলার পর নগরীতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এতে নগরবাসীকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান কমিশনার।
সোশ্যাল মিডিয়া যেসব বার্তা আসে তা অবহেলা করা বা সত্য বলে ধরে নেওয়া না, মিডিয়া মনিটরিংয়ে নির্দিষ্ট সেল নিয়মিতভাবে মনিটর ও তথ্য যাচাই করছে বলে জানান তিনি।
ভয়ের কোনো কারণ নেই, আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করে নিরাপত্তা দেবো বলে নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেন কমিশনার।
গুলশান হামলার মামলা সম্পর্কে বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকালে সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। কে জড়িত কে জড়িত নয় সেটা বলবো না, যারা অংশ নিয়েছে তাদের ফ্যামেলি ব্রাকগ্রাউন্ড, ফেসবুক, কললিস্ট, অতীত কর্মকাণ্ডসহ সব বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
শুধু তাহমিদ, হাসনাত নয় এ ঘটনায় অনেকেই পুলিশের সন্দেহের আওতায় রয়েছে।
এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।