ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,বিনোদন প্রতিনিধি , শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ :
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শপথগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যরা। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতে শিল্পী সমিতির সদস্য ও সাংবাদিক–ইউটিউবারদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন ১০ সাংবাদিক। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো’র দিকে।
Advertisement
হামলার শিকার হওয়া এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, মারামারির সময় অসংলগ্ল আচরণ করছিলেন শিবা শানু। তিনি মদ্যপ ছিলেন। শরীর থেকে মদের গন্ধও আসছিল। তিনি যে অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন সেটা ভিডিও ফুটেজ দেখলেও প্রমাণ পাওয়া যায়।
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার এক সাংবাদিক চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার নিতে চান। ময়ূরীর মেয়েকে প্রশ্ন করেন—‘আপনি আপনার মায়ের সিনেমা দেখেন কি না। দেখলে কেমন লাগে?’ ময়ূরীর মেয়েকে এমন প্রশ্ন করতেই রেগে যান খল-অভিনেতা শিবা শানু। তিনি সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিসে থেকে বের করে নিয়ে যান।
Advertisement
এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে শিবা শানুকে থামাতে যান। এতেই শুরু হয় হট্টগোল। তখনই শিল্পী সমিতির আরেক নেতা চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী গালি দিয়ে ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শুরু হয় চেয়ার ভাঙাভাঙি। পুরো এফডিসি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। মারামারিতে রক্তাক্ত হন কয়েকজন সাংবাদিক।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বলেন, ‘শপথ শেষে কার্যকরী পরিষদের মিটিং ছিল। আমরা সবাই তখন মিটিং করছি। এই মুহূর্তে ময়ূরী আপু তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না বাইরে লোকজনের জন্য। এমন সময় দুই-তিনজন ইউটিউবার, তারা ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলছেন—‘তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও’। বারবার তারা এই আবদার করছিলেন, এতে ময়ূরী আপু রেগে যান। বলেন, ‘ও তো সেলিব্রেটি না, ও ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবেন?’ পরে এটা দেখে শিবা শানু ভাই ইউটিউবারদের বলেছেন, ‘এই বের হন। স্টাডি রুম থেকে বের হন।’ এই কথার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। তারা শিবা শানু ভাইয়ের গায়ে হাত তুলেছেন। এবং তারা বাইরে দৌড়ে গিয়ে বলছে টিভি চ্যানেলের সবার গায়ে হাত দিয়েছে। পরে গণ্ডগোলটা সৃষ্টি হয়েছে।’
এদিকে, আগামীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে অনাকাঙ্খিত মারামারির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজল।
Advertisement
ওই বিবৃতিতে আরও জানা যায়, এ ঘটনায় শিল্পী সমিতির নেতা ও সাংবাদিকদের যৌথ আলোচনার জন্য প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে রয়েছেন সাংবাদিক লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না।