ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,ক্রাইম প্রতিনিধি , শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ :
বোরকা পরে যুদ্ধাপরাধের মামলার আসামির সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ, মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগের পর এবার আওয়ামী লীগের দলীয় লোকদের দিয়ে গঠিত কথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগও করেছেন তারই গর্ভধারিণী মা সামসুন নাহার তসলিম।
Advertisement
এছাড়া নিজের মা-ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করার অভিযোগও করেছেন তুরিনের মা।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে তুরিন আফরোজের মা সামসুন নাহার তসলিম তার মেয়ের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছেন। এসব অভিযোগের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি অভিযোগ হলো-অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ায় বাড়ি থেকে মা-ভাইকে বের করে দেয়া এবং মা-ভাইয়ের সম্পত্তি দখল করে নেয়া।
তুরিন আফরোজের মা বলেছেন, অপরিচিত লোকদের রাত-বিরাত ঘরে প্রবেশ নিয়ে দারোয়ান ও ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করলে, তার সঙ্গে প্রায় লাগতো (ঝগড়া)। এসব বিষয়ে নিষেধ করলে র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে ভয় দেখাত এবং বলত, ওরা সবাই তার বন্ধু। কোনো কিছু বললেই ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করার ভয় দেখাত। আমি তো ধারা বুঝি না। আরও বলত, পৃথিবীর যেখানেই থাকো সেখান থেকেই ধরে নিয়ে আসব। আর তার গানম্যান দিয়ে ভয় দেখাত। গ্রামের বাড়ি নীলফামারি যেতে পারি না, সে সেখানে দায়িত্ব নিয়ে জমিজমা ও বাড়ি নিজের নামে কুক্ষিগত করেছে।’
তুরিন আফরোজ দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াতের নিরপরাধ শীর্ষনেতাদের চরিত্রে কালিমা লেপনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সভা-সমাবেশ, আদালত, টকশোসহ সবখানেই তুরিন আফরোজের বক্তব্য হলো-জামায়াত নেতারা ৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের সময় লাখ লাখ নারীদেরকে ধর্ষণ করে তাদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। অথচ তুরিন আফরোজ তার এসব বক্তব্যের স্বপক্ষে সুনির্দিষ্ট একটি প্রমাণও দেখাতে পারেননি।
Advertisement
অনেকেই কানাঘুষা করছেন, আসলে যারা চরিত্রহীন তারাই নিরপরাধ মানুষের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে পারেন। চরিত্রবান কোনো সৎ মানুষের পক্ষে কোনো ভাল মানুষের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন-মিথ্যা অভিযোগ আনা সম্ভব হয় না।
তুরিন আফরোজ ব্যক্তিগতভাবে নিজে চরিত্রহীন হওয়ার কারণেই আরেকজনের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পান না। কারণ, লেজকাটা শিয়াল চায় সব শিয়ালেরই যেন লেজগুলো কেটে ফেলা হয়।
তুরিন আফরোজের মা’র এসব অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই এনিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। সামজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলোও আজ তুনিরময় হয়ে গেছে। এই বিতর্কিত ব্যারিস্টারকে নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
অনেকেই জানতে চাচ্ছেন-রাত-বিরাতে তুরিনের ঘরে কারা আসে? কারা এই খদ্দের? যারা প্রতিদিন এসে তুরিনের সঙ্গে রাত কাটায়?
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তুরিন আফরোজ এখন স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা। অনেক আগেই বেপরোয়া চলাফেরার কারণে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। ওই সংসারের একটি মেয়ে আছে। মেয়েটাকে নিয়েই থাকেন তিনি। এরপর আর কাউকে বিয়ে করেননি তুরিন। আর স্বামী চলে যাওয়ার পর থেকেই তুরিনের বাসায় অপরিচিত লোকদের আসা-যাওয়া বেড়ে যায়। যার কারণে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ির দারোয়ান ও ভাড়াটিয়ার সঙ্গে এসব নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে।