ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,বিনোদন প্রতিনিধি , বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ :
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু গত বছর ২ নভেম্বর বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর।
Advertisement
উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন এ চার্জশিট দাখিল করেছেন গত ৯ সেপ্টেম্বর। আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হলেও বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) তা জানা গেছে। এতে আসামি করা হয় হিমুর ‘বন্ধু’ জিয়াউদ্দিন রুফিকে। তার সঙ্গে দ্বন্দ্বেই আত্মহত্যা করেছিলেন অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু।
চার্জশিটে বলা হয়, ছোটপর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু থাকতেন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১০ নম্বর সেক্টরে। দুই দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছিল নানা সংগ্রাম। বিয়ে করলেও স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তার।
অভিনেত্রী আত্মহত্যার ছয় মাস আগে থেকে হিমুর বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন রুফি। জানা যায়, ওই বাসায় মাঝেমধ্যেই রাতেও থাকতেন তিনি। তাদের সম্পর্কের একপর্যায়ে হিমু তার বয়ফ্রেন্ড রুফির মোবাইল ফোন নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
Advertisement
সেসময় জানা গিয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দেন। মেকাপ আর্টিস্ট মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তার রুমে চলে যান।
এরপর রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞেস করে, আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান। এসময় হিমু রুমের সিলিংফ্যানের হুকে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে নিয়ে চলে যান।
রুফি অভিনেত্রী হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। পরে রাগে ও অভিমানে গত বছরের ২ নভেম্বর হিমু বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় ২ নভেম্বর রাতেই হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
Advertisement
অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু ২০০৫ সালে টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মো. জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমায়রা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপর তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেন।