১৩ বছর পর হারুন-বিপ্লবের বিরুদ্ধে জয়নুল আবদিনের হত্যাচেষ্টার মামলা (ভিডিও)

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,রাজনৈতিক প্রতিনিধি , বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ :

১৩ বছর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বেধড়ক লাঠিপেটার ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক।

Advertisement

আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নিজেই অভিযোগ করেন। দণ্ডবিধির ৩২৩/৩২০৫/৩২৬/৩০৭/২০৬/১০৯/৩৪ ধারায় মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পুলিশের লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

সেদিনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) বর্তমানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ ও তৎকালীন সহকারী কমিশনার (এসি) ও বর্তমানে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

সেদিন সকালে জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের ১৫-২০ জন সংসদ সদস্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনে জড়ো হোন। ভোরবেলা তাঁরা হেঁটে সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছান। পরে ফার্মগেট থেকে তাঁরা আবার মানিক নিয়ে অ্যাভিনিউয়ে ফিরে যান। এ সময় হঠাৎ একটি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়।

তৎকালীন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ডিসি ইমাম হোসেন, সহকারী উপকমিশনার হারুন অর রশীদ ও মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সংসদ সদস্যদের সামনে গিয়ে তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জয়নুল আবদিন ফারুকের কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ তাঁর দিকে তেড়ে যায়। তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান। পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাঁকে লাথি মারেন এবং তাঁকে ধরে টানাহেঁচড়া করতে থাকেন। এ সময় ফারুকের গেঞ্জি খুলে যায়। একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্যের লাঠিপেটায় তাঁর মাথা ফেটে যায়।

Advertisement

ফারুকের মাথায় রক্ত দেখে নারী সংসদ সদস্যরা তাঁকে নিয়ে ন্যাম ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ আবার এগিয়ে এলে তিনি আত্মরক্ষায় ন্যাম ভবনের দিকে দৌড় দেন। পুলিশও তাঁর পিছু নেয়। একপর্যায়ে ফারুককে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান।

এরপরে ফারুককে উদ্ধার করে এমপি আসিফা আশরাফি পাপিয়ার ন্যাম ভবনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার পর আদালত এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

ফারুককে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বিএনপির সংসদ সদস্য আশরাফউদ্দিন নিজান মামলাটি করেন। এর আগে ঢাকার একটি থানা এ-সংক্রান্ত মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

Advertisement

২০১১ সালের ১০ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে করা মামলায় পুলিশের ৩০ জনের মতো সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার।