প্রেমের ফাঁদের ফেলে কিশোরীকে ভারতে পাচার, পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,ঢাকা প্রতিনিধি ,রোববার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১ 

প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারায়ণগঞ্জের এক কিশোরীকে ভারতে নিয়ে পতিতাতালয়ে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়েটি নগরীর একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। বর্তমানে মেয়েটি প্রতিবেশী দেশটির জয়পুর শহরের একটি সেফহোমে আশ্রয় পেয়েছে।

Advertisement

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জানা গেছে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতে পাচারের পর পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টার বিষয়টি বুঝতে পেরে পালিয়ে সেখানকার পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়ে সেই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পায় ওই কিশোরী। পরে মেয়েটির কথিত প্রেমিক আবু নাঈমের মা ফারজানা ওরফে অনামিকাকে গ্রেফতার করেছে জয়পুর পুলিশ।


ভুক্তভোগী কিশোরী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে শহরের গলাচিপা ডি এন রোড এলাকার বাসিন্দা। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।


কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, গত ১০ এপ্রিল (১৮ রমজান) মার্কেটে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় তার মেয়ে। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান মেলেনি। এদিকে গত ৫ মে ভারতের দিল্লীতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে ফোন আসে তার কাছে। দূতাবাস থেকে কিশোরীকে উদ্ধারের কথা জানানো হয়।
তিনি জানান, কিশোরীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দূতাবাস থেকে তাকে ঘটনার বিবরণ জানানো হয়। বলা হয়, প্রতিবেশী যুবক নাঈম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নাঈমের মা ফারজানার তত্ত্বাবধানে মুন্সি (হুজুর) ডেকে তাদের কথিত বিয়ে পড়ানো হয়।

Advertisement


‘এ ঘটনার  কিছুদিন পর চিকিৎসার কথা বলে কিশোরীকে জয়পুরহাট সীমান্ত পেরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতে। সেখানে একটি পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টা করেন নাঈমের মা ফরাজানা। তবে বিষয়টি বুঝতে পেরে কিশোরী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয় পুলিশের কাছে। ধরিয়ে দেয় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য ফারজানাকে। এরপর ভারতের পুলিশ ওই কিশোরীকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি (সিডব্লিউসি) নির্দেশে চিকিৎসা দিয়ে হোম সেলে পাঠায়।’

এ ঘটনার পর গত ১০ মে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন কিশোরীর মা।
এদিকে ভারতের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে কিশোরীকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার সব ধরণের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানান স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সময় সংবাদকে বলেন, মেয়েটিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমরা তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। ব্র্যাক নারী ও শিশু পাচাররোধে কাজ করে। তাদের মাধ্যমে ভারতের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমরা সেই চেষ্টা করছি।

Advertisement


এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা সময় সংবাদকে বলেন, ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সেটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। পাচার হওয়া কিশোরীকে কিভাবে দেশে ফরিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করে মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করব। এর পাশাপাশি যারা মেয়েটিকে পাচার করেছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। 
https://youtu.be/Dguqvqx_uig?si=hCyqZjEIT5DH1tOO