ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) , ঢাকা প্রতিনিধি,সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১ :
জনগণের ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে গাজী টায়ারের কারখানা। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় কারখানায় আগুন দিল বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত সাড়ে দশটার দিকে রূপসী গাজী টায়ার কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। রাত থেকেই চলছে লুটেরা গাজীর কারখানায় লুটপাট। এদিকে কারখানায় লুটপাট করতে আসা এ পর্যন্ত ৯৮ জনের নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজের সংখ্যা আরো বাড়তে বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।
Advertisement
জানা গেছে, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর রূপগঞ্জের আরেক স্বৈরাচার গোলাম দস্তগীর গাজী লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায়। গত ৫ আগস্ট রাতে বিক্ষুদ্ধ জনতা ও ভুক্তভোগীরা রূপসীর গাজী টায়ার কারখানায় আগুন দেয়। এরপর লুটেরা গাজীর কারখানায় জনতা লুটপাট চালায়।
এদিকে, গত শনিবার রাতে গোলাম দস্তগীর গাজীকে ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। রোববার বিকেলে গাজীর ফাসির দাবীতে রূপগঞ্জের বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। গাজী গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা রূপগঞ্জের জনতা গাজী টায়ার কারখানায় আগুন দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছে। ফায়ার ফুট সার্ভিসের ১২ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
Advertisement
রূপসী এলাকার সেলিম আহম্মেদ জানান, এটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে রূপগঞ্জে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে গাজী ও তার লোকজন। খাদুন এলাকার একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাগো আড়াই বিঘা জমি দখল কইরা নিছে এই গাজী। আল্লায় বিচার করছে। অনেক মাইনসের ক্ষতি করছে এ গাজী।
এদিকে, লুটপাট করতে এসে বেশ কয়েকজন নিখোজ রয়েছে বলে তাদের স্বজনরা কারখানার সামনে আহাজারি করতে দেখা গেছে।
Advertisement
এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে একটি দল গাজীর কারখানা পরিদর্শন করে বলেন, আমি এবং আমরা এই লুট ও আগুন কে কখনোই সমর্থণ করিনা, এই আগুন লুটতরাজের সাথে বিএনপি জড়িত নয়, এখনো যারা লুট করতে আসছে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করার কথাও তিনি বলেন। গাজী যদি অপরাধ করে তার বিচার আদালতে হবে। এছাড়াও রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল ও সার্কেল এসপি হাবিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।