সংসদ ভবন থেকে: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে এবার রসিকতা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্যমন্ত্রী এরশাদকে নিয়ে রসিকতা করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এরশাদ সাহেবের সবই ভালো কিন্তু কিছু দোষ আছে উনি মাঝে মাঝে সিদ্ধান্ত ও প্রেমিকা বদলান।
এবার আবার এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ সংসদে একটি কবিতার লাইন পড়ে শোনান। রওশন এরশাদ বলেন, ‘বুঝি গো আমি বুঝি গো এ ছলনা, কী তুমি বলিতে চাও আমি বুঝি না।’
বুধবার (২৯ জুন) সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার এই কবিতার বিষয়ে বলেন, বিরোধীদলের নেতা অনেকগুলো কবিতা বলেছেন। সেজন্য তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। শুধু একটি কবিতার ব্যাপারে আমি একটু কথা বলতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী হাসি মাথা কণ্ঠে বলেন, বিরোধীদলের নেতা কবিতা পাঠ করতে গিয়ে বলেছেন- ‘বুঝি গো আমি বুঝি গো এ ছলনা, কী তুমি বলিতে চাও আমি বুঝি না’। এটি বোধ হয় উনি (রওশন) ওনার বাম দিকে যিনি বসে আছেন (এরশাদ), তার দিকে তাকিয়ে বললে ভালো হতো। প্রথমে বুঝতে পারিনি উনি কাকে বলছেন। আমি ভাবলাম এরশাদ সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। আমি আশা করি, এরশাদ সাহেব ভবিষ্যতে আর কোনো ছলনা করবেন না।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সরকার ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা (এমপি) দীর্ঘ সময় হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠেন। এ সময় সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা দীর্ঘ সময় টেবিল চাপড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে সমর্থন জানান। বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরাও এ সময় হাসিতে মেতে উঠেন। এরশাদও এ সময় হাসি চেপে রাখতে পারেননি। হাসতে দেখা যায় রওশন এরশাদকেও।
এরশাদকে নিয়ে রাজনীতিবিদদের হাসি-ঠাট্টার নেই শেষ। তার ঘন-ঘন অবস্থান বদল, এখন সরকারের হয়ে কথা বলেন, আবার কিছু সময় পরে মত পরিবর্তন করেন। এই জন্য ইতোমধ্যে রাজনৈতিক মহলে সাবেক এই স্বৈরশাসকের নাম হয়েছে, ‘আনপ্রেডিক্টেবল পলিটিশিয়ান’ (যে রাজনীতিবিদ সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা করা যায় না)।