অভিযোগ প্রমাণিত হলে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) ,বিশেষ প্রতিনিধি,বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১ :

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে নির্মমভাবে মারধরের বিষয়টি প্রমাণিত হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজ রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

এক সাংবাদিক ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদকে প্রশ্ন করেন, ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে পিটিয়েছেন। বেধড়ক মারধর করেছেন। তাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ডিএমপি কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না।

জবাবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন। এটি তদন্ত করা হবে, তদন্তে এডিসি দোষী হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

আহত ব্যক্তিরা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

এই দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ও তাঁদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাঁদের থানায় নিয়ে বেদমভাবে পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাঁদের পেটান।

পুলিশ সূত্র জানায়, এডিসি হারুনের সঙ্গে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরবর্তীকালে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে মারধর করে।

Advertisement

মারধরে আহত ছাত্রলীগের দুই নেতার একজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরেকজন চিকিৎসা নিয়ে হলে ফিরে গেছেন। সূত্র জানায়, ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা।