আবু সাঈদ হত্যা: আসামি ৩ পুলিশ কর্মকর্তা অবসরে, বাকিরা আত্মগোপনে (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), রংপুর  প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১ :  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জনই পুলিশ সদস্য। বাকি ৭ আসামির মধ্যে রয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও ছাত্রলীগ নেতা। এ মামলায় আলাদা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনার প্রায় এক মাস পর ১৮ আগস্ট আদালতে মামলা করেছেন তার বড় ভাই রমজান আলী। তবে আবু সাঈদ হত্যা মামলার মোট ১৭ আসামির মধ্যে অবসরে আছেন তিন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, বাকিরাও আছেন আত্মগোপনে।


মামলায় আসামি করা হয়েছে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুরের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, সাবেক মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, বর্তমানে রংপুরে কর্মরত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার সাবেক ওসি রবিউল ইসলাম, পুলিশের এএসআই সৈয়দ আমীর আলী, সুজন চন্দ্র রায় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণকে। এদের মধ্যে বিভূতিভূষণ পুলিশের পক্ষ থেকে করা আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদী ছিলেন।

Advertisement

এদিকে বাকি আসামিরা হলেন: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামিম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক, ধনঞ্জয় কুমার টগর, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডল, গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান।
এ মামলায় আলাদা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি নাজমুল আলম নাজু বলেন, ‘এদেশের পুলিশের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। পুলিশের মামলা পুলিশই তদন্ত করবে। বিচারকের মামলার বিচার বিচারক করবেন। এটা হয় না আসলে। সে কারণে প্রথম থেকেই আমাদের দাবি, সব সহিংসতা ও আরও যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর জুডিশিয়াল তদন্ত হোক এবং এর মাধ্যমের এগুলোর তদন্ত হোক।

গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানার এসআই বিভূতি ভূষণ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলার আসামি করা হয়েছিল আন্দোলনকারীদের।

Advertisement


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।