ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের বাকি ১৮ লাখ টাকা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), বিশেষ প্রতিনিধি,সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪, ৪ ভাদ্র ১৪৩১ : 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এএফ রহমান হলের ক্যান্টিন মালিক অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে তার বাকির পরিমাণ ১৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনের কাছে পাওনা পৌনে ৬ লাখ টাকা। তবে বাকি টাকার বিপরীতে কোনো মেমো দেখাতে পারেননি তিনি।

Advertisement

গতকাল শুক্রবার ক্যান্টিনের মালিক বাবুল গণমাধ্যমের কাছে একটি তালিকা পাঠান। সেই তালিকায় ৪৮ জন নেতার বিরুদ্ধে বাকির অভিযোগ করেন।

এতে দেখা যায়, রিয়াজুল ইসলাম ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও মুনেম শাহরিয়ার মুন ২ লাখ ১৬ হাজার টাকার বাকি খেয়েছেন। এ ছাড়া হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলি হাসান রিফাত ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আফছার হোসেন রানা ৪৫ হাজার টাকা, জয়-লেখক কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা, হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ১ লাখ ১৫ হাজার, বাইজিদ

Advertisement

কোতোয়াল ৪৫ হাজার টাকা, হল সংসদের সাবেক জিএস রাহিম সরকার ৫৫ হাজার টাকা বাকি করেছেন। একই সঙ্গে উচ্ছল ৮৫ হাজার, নাহিদ ১ লাখ ১৫ হাজার, রাজু ৬১ হাজার, লাভলু ৪৮ হাজার, আব্দুল আলিম ৬০ হাজার, কাজল ৭০ হাজার, হারুন ৭০ হাজার, নাজমুল ৩৫ হাজার ও শাহাদাত ১৫ হাজার টাকা বাকি করেছেন।

ক্যান্টিন মালিক বাবুল বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই বাকিতে খেতেন। তারা আমাকে হুমকি-ধমকি দিতেন। এমনকি নেতাদের

জন্য প্রতিদিন ৮-১০টি খাবার স্পেশালভাবে রান্না করা হতো। বাকির বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারলেও বাবুল বলেন, নেতাদের রুমে প্রতিদিন ৫-১০টি খাবার যেত। যেহেতু তারা টাকা দেবে না, তাই আমি খাতায় লিখেও রাখিনি। এটা আনুমানিক হিসাবের তালিকা দিয়েছি।

তবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাবুলের খাবারের মান খুবই নিম্নমানের। তিনি ছাত্রলীগের নেতাদের তেলবাজি করতেন। তাদের মাধ্যমে নিজের স্বার্থ হাসিল করতেন।

Advertisement

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের দশের অধিক নেতাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিক শাহরিয়ার বলেন, বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে দেখেছি। আমার কাছে তিনি অভিযোগ দেয়নি। এর আগেও ক্যান্টিন ঘুরে খাবার মান নিয়ে জিজ্ঞেস করেছি। তার কাছে কেউ বাকি খায় কিনা জানতে চেয়েছি। কিন্তু বরাবর বলেছেন, তার কাছে কেউ বাকি খায় না। এত টাকা বাকি থাকার পরও কীভাবে ক্যান্টিন চালিয়েছেন তা দেখার বিষয়। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।