ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), বিনোদন প্রতিনিধি,সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪, ৪ ভাদ্র ১৪৩১ :
শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছত্রছায়ায় নায়িকা নিপুণ হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। এমন অভিযোগ নিপুণের বিরুদ্ধে। বিষয়টি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলো ওপেন সিক্রেট। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে আইন মন্ত্রণালয়। সর্বত্রই ছিলো তার দৌড়। নিপুণ এমপি বা মন্ত্রী নয়। শেখ হাসিনার সরকারের কোনো দায়িত্বেও ছিলেন না। তারপরও তার এই প্রভাবের উৎস কী, নেপথ্যে কে? বিষয়টি অনেকেরই জানা। তবে মুখ খোলার দুঃসাহস দেখাননি কেউ।
Advertisement
শেখ ফজলুর করিম সেলিম ওরফে শেখ সেলিম। শেখ হাসিনা সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। শেখ সেলিমের ভালোবাসায়-আশীর্বাদে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন নিপুণ। সরকারি বেশ কয়েক দপ্তরে ছিল নিপুণের রাজত্ব।
এরমধ্যে অন্যতম রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রাজউক থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে নিপুণের বিরুদ্ধে।
Advertisement
নিপুণ সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য রাজউকের উচ্চমান সহকারী মাহবুব হোসেন। সিবিএ নেতা। শেখ সেলিমের লোক হিসেবে পরিচিত তিনি। এই মাহবুুবের সঙ্গে নিপুণকে পরিচয় করিয়ে দেন শেখ সেলিম।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অভিজাত এলাকা বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে নিপুণ গড়ে তোলেন প্রসাধনী ও লাইফ-স্টাইল কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান ‘টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা’। কথিত রয়েছে, এই পার্লারটি তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন শেখ সেলিম।
Advertisement
২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারির বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যান নিপুণ। তারপর প্রভাব খাটিয়ে নানা খেলা দেখান তিনি। পরবর্তীতে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানকে অযোগ্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির আপিল বোর্ড। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান নিপুণ আক্তার। শেখ সেলিমের নির্দেশে এমনটি হয়েছিলো বলেই জানিয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
সর্বশেষ, গত ২৮ জানুয়ারির নির্বাচনে খল অভিনেতা ডিপজলের কাছে পরাজিত হন নিপুণ। সেখানেও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন এই নায়িকা। তিনি আদালতে রিটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। ওই সময়ে খল-অভিনেতা ডিপজল বলেছিলেন, নিপুণের পেছনে অবশ্যই বড় শক্তি আছে। তার পেছনের হাত লম্বা বলে জানান তিনি।