ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪ : কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ সন্দেহে এক ব্যবসায়ীকে একদল সন্ত্রাসী বেদম পিটিয়ে জখম করে ফেলেছে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। পুলিশের ধারনা, তাকে গুম করা হয়েছে। এও ধারনা করা হচ্ছে, ওই ব্যবসায়ী আর বেঁচে নেই।
Advertisement
১৯ জুলাই ওই ব্যবসায়ীকে মেরে রাস্তা দিয়ে টেনহেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেলেও সেই ব্যবসায়ী এখনও নিখোঁজ। এদিকে এ ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিখোঁজ ব্যবসায়ীর নাম জাহিদুর রহমান। ওই দিন দনিয়া এলাকায় দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তিনি নাশকতাকারীদের কবলে পড়েন।
এসময় নাশকতাকারীরা শরীর তল্লাশি করে তার কাছে থাকা বৈধ একটি রিভালবার পায়। তখন তাদের ধরনা হয়, জাহিদুর পুলিশের লোক। একারণে তাকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে রাস্তা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, জাহিদুরের কোমরে রিভলবার থাকায় নাশকতাকারীরা ধারনা করেছিল তিনি পুলিশের লোক এবং তাদের মারতেই তিনি এসেছেন। একই সঙ্গে যেহেতু রিভলবার নিয়ে এসেছে, সেহেতু মারার জন্যই এসেছে। এজন্যই তাকে দনিয়া কলেজের পাশ থেকে রাস্তা নিয়ে বেদম পেটানো হয়। এরপর অন্তত দেড় কিলোমিটার রাস্তা টেনেহেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
Advertisement
হারুন বলেন, বৈধ রিভলবারটি উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ মানুষটির খোঁজ এখনও পাই নাই। আমাদের ধারনা, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
অপরদিকে, একই দিন রইস নামে এক পুলিশ সদস্য যাত্রাবাড়ী এলাকা দিয়ে সাদা পোশাকে বাড়ি ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসীদের মুখে পড়েন। তাকে বেদম পেটানো হলেও কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যান।
ডিবিপ্রধান বলেন, জামাত-বিএনপির চক্র তারা তো কোটার লোক না, ছাত্র না। হঠাৎ করে তারা যাত্রাবাড়ী এরাকায় যাকেই পেয়েছে তাকে পিটিয়েছে। এমনকি আমাদের একজন পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে তারা হত্যা করেছে। এছাড়া পুলিশ পরিচয় পেলেই তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
Advertisement
এইসব নাশকতার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার কথা জানান হারুন অর রশিদ। এসব ঘটনায় ঢাকা মহানগরে ২০৭ টি মামলা হয়েছে। আর বিশেষ অভিযানে দুই হাজার ৫৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।