চট্টগ্রাম: পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে ওয়াসিম ও আনোয়ার নামে দুই ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ দু’জনকে এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জুন) বিকেল ৩টায় সিএমপি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইকবাল বাহার এ কথা জানান।
সিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা মিতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গতকাল (শনিবার) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এদের একজন ওয়াসিম ও আরেকজন আনোয়ার। তারা এখন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিচ্ছে। এ দু’জন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাদের দু’জনের বাড়িই রাঙ্গুনিয়ায়।
হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার দু’জনের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, তারা সক্রিয়ভাবে হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে, এটিই তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি। মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনের মধ্যে একজন হলেন ওয়াসিম এবং তিনিই শ্যুট (গুলি) করেছেন। আনোয়ার ঘটনাস্থলে রেকি করার জন্য যে কয়েকজন দাঁড়িয়েছিল তাদের একজন।
ইকবাল বাহার আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি হত্যাকাণ্ডে ৭-৮ জন জড়িত। তার ভেতর থেকে আমরা এ দু‘জনকে ধরতে পেরেছি। বাকি যারা জড়িত, তাদের নাম ঠিকানা আমরা পাবো। এরা পেশাদার অপরাধী। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তারা কেনো হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এমন কিছু কি জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গেছে- এমন প্রশ্নে কমিশনার বলেন, আমরা কেবল তাদের ধরতে পেরেছি। বাকি যারা জড়িত তাদের পেলে এবং তদন্ত শেষ হলে পুরোটা বলতে পারবো।
এ পর্যন্ত এ ঘটনায় ক’জন গ্রেফতার হলো- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পরিষ্কার বিষয় হলো গ্রেফতার এ দু’জনই। এছাড়া এতোদিন যাদের আটক করা হয়েছে তাদের তথ্যের জন্য আনা হয়েছিল। তাদের কোনোভাবেই গ্রেফতার বলা যাবে না।
বাবুল আক্তারকে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ইকবাল বাহার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ কথাটি বলতে আমি প্রস্তুত নই, বাদীর সঙ্গে আলোচনা, মামলা নিয়ে দীর্ঘসময়, দীর্ঘক্ষণ, বিভিন্নভাবে সময় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ঘটনাটি টার্গেট কিলিং এটি নিশ্চিত। জড়িতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। কিন্তু কারা, কীভাবে, কেনো এ হত্যাকাণ্ড করেছে তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।
বাবুল আক্তারকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে সিএমপি কমিশনার বলেন, বাদীকে নজরদারিতে রাখা হবে কেনো? যদি এরকম কিছু থাকে, যদি তদন্তে এমন কিছু পাওয়া যায়, তাহলে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। সেখানে নজরদারি করে রাখার কী আছে?