ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি ,সোমবার, ১০ জুন ২০২৪, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বরগুনার আমতলী থেকে ঢাকায় আসেন মজিবর আকন ওরফে টেক্কা। এরপর গাবতলীর আমিনবাজারসহ মিরপুরে দিনমজুর ও বালুশ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু এই পেশার আড়ালে টেক্কা গড়ে তোলেন ভয়ংকর এক ডাকাত দল। যারা দিনের আলোতে দিনমজুর আর রাতের আঁধারে ভয়ংকর ডাকাত।
Advertisement
২০১৮ সালে ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি দ্বন্দ্বে ডাকাত দলের এক সদস্যকে হত্যা করে টেক্কা ও তার সহযোগীরা। হত্যার পরে লাশ তুরাগ নদে ফেলে দেয় তারা। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে গতকাল রোববার রাজধানীর মিরপুর ও গাজীপুর থেকে অভিযান চালিয়ে টেক্কা ও তার সহযোগী শামিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) পিবিআই সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা।
সংবাদ সম্মেলনে কুদরত-ই-খুদা বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে বড় ভাই শাজাহানের বাসা থেকে বের হন আজাদ। পরে তিনি বাসায় না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে আজাদের ভাই জানতে পারেন সাভারের আমিনবাজারের হিজলা এলাকায় তুরাগ নদীতে একটি লাশ ভাসছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি নিজের ভাই আজাদের বলে শনাক্ত করেন শাহজাহান। এই ঘটনায় শাজাহান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন। মামলাটি ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই ঢাকা জেলা। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল গত ৯ মে বিকালে হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন মজিবর আকন ওরফে টেক্কাকে গাজীপুরের মাজুখান বাগেরটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টেক্কা হত্যার ঘটনা স্বীকার এবং আরও আসামিদের বিষয়ে তথ্য দেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিনই সামিম হোসেনকে ঢাকার শাহ আলী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ডাকাত সর্দার টেক্কার দলটি মূলত তুরাগ নদীর সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুর অংশে মালবাহী ট্রলার, বালুবাহী বাল্কহেড ও অন্যান্য নৌ-যানে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। প্রথমে তারা নৌযানগুলোর কাছে চাঁদা দাবি করে, কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাতের বেলা নোঙর করে রাখা নৌযানগুলোতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হানা দিত। ট্রলারের লোকজনকে মারধর করে তাদের কাছে থাকা নগদ অর্থ, নৌযানের ব্যাটারিসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করত দলটি।
টেক্কা ও তার সহযোগী শামিম। ছবি: সংগৃহীত