ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),ফরিদপুরের নগরকান্দা প্রতিনিধি ,বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
মেঘনা উপজেলায় তুলাতুলি বাজার সংলগ্ন বড়ইয়াকান্দি নদীতে গতকাল মো: শফিকুল বজ্রপাতে নিহত ! মেঘনাবাসী তার অকাল মৃত্যুতে শোকাহত,আল্লাহর যেন তাকে বেহেশত নসীব করেন,আমীন ।
উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের বাঘুটিয়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘরের প্রথম বরাদ্দ পান বাঘুটিয়া গ্রামের রিপন মাতুব্বর ও তার স্ত্রী বিথি বেগম। সম্প্রতি ঘরটি তারা বিক্রি করে দেন। স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি কিনে সেখানে বসবাস করছেন রাশেদ মোল্যা ও তার স্ত্রী রাশিদা বেগম। তবে বর্তমানে বসবাসরত রাসেদ মোল্যার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ধার নেন রিপন মোল্যা। সেই টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তিনি উক্ত ঘরটি একটি স্ট্যাম্প করে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের জন্য জমি বরাদ্দ ছাড়াই শুধু ঘর নির্মাণে সরকার এক লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ১০টি ঘর নির্মাণের পর ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি সেগুলো হস্তান্তর করা হয়। ১০ জন সুবিধাভোগীর বেশিরভাগই বাঘুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। যেখানে ১০টি ঘরের মধ্যে একটি ঘর টাকার বিনিময় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
এ ব্যাপারে রাশেদ মোল্যার স্ত্রী রাশিদা বেগম টাকার বিনিময়ে ঘর কেনার কথা স্বীকার করে বলেন, আগের সুবিধাভোগী রিপন মাতুব্বরের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি আমরা কিনে নিয়েছি। তবে এ বিষয়ে রিপন মাতুব্বরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Advertisement
উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান বাবুল বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু এখনো জানায়নি। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।
Advertisement
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমাম রাজী টুলু বলেন, যাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র তারাই ঘরে বসবাস করতে পারবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘরগুলো কোনোভাবেই বিক্রি বা হস্তান্তরের সুযোগ নেই। সরকারি আশ্রয়ণের ঘর বিক্রি করা আইনত অপরাধ। বিষয়টি জানার পর সরেজমিন ওই ঘরে কাউকে পাইনি। আমি নিজে ঘরটি তালাবদ্ধ করে দিয়েছি।