ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের জন্য ‘সুখবর’ নিয়ে আসছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ অন্য সেবাকাজের জন্য ৬১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
প্রকল্পের প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, খুব দ্রুতই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাঠানো হবে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের জন্য মূলত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (২০ জুন) একনেকে প্রস্তাবটি পাঠানো হবে।
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নয়ন সম্ভব হবে। নেটওয়ার্ক উন্নত হলে সরকারি সেবাসমূহ টেলিটকের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে।
অন্য অপারেটরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দাঁড়ানোর জন্য পাশাপাশি টেলিটকে বিনিয়োগের জন্য দাতা খোঁজা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামী মাসে ভারতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে টেলিটকের উন্নয়নের সহযোগি সংস্থাগুলোর কাছে ঋণ প্রস্তাব করা হবে।
টেলিটকে বিনিয়োগের জন্য চায়না এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়ার জন্য আলোচনা করছেন তিনি।
তারানা হালিম বলেন, টেলিটকের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী এবং অবকাঠামো উন্নয়নের পর ফোর-জিতে গেলে তখন আর মানুষ আশাহত হবে না।
পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় একটা মানুষও যেন বিপদে না পড়ে সেজন্য থ্রি-ডিজিট নম্বর চালু করা হবে। এজন্য টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করা জরুরি।
টেলিটকের গ্রাহক বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে তারানা হালিম বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তঃযোগাযোগের জন্য একটি করে টেলিটক সিম রাখা হয় তাহলে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটরটি আরও এগিয়ে যাবে। তবে কোনো অপারেটরের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এমএনপি (নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তন) আসার পর ছোট ছোট অপারেটরগুলো নেটওয়ার্কজনিত কারণে মুখ থুবড়ে পড়বে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেলিটকের এই বিনিয়োগ ভাল ফল দেবে বলে মনে করছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
বিটিআরসি’র সর্বশেষ এপ্রিল মাসের তথ্যানুযায়ী, দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৪৯ হাজার, যার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর পর অন্য অপারেটরদের গ্রাহক কমতে থাকলেও এক মাস বাদে টেলিটকের গ্রাহক বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল।