ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),কলিকাতা প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাংশ খুঁজতে এবার ড্রোন নামানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার খালে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তবে এখনও কিছুই পাওয়া যায়নি। এদিকে যতো সময় পার হচ্ছে ততোই অভিযুক্ত জিহাদকে জেরা করে রোমহর্ষক ঘটনার কথা জানতে পারছেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জাহিদ জানিয়েছে, সিয়ামকে সাথে নিয়ে ভাড়া গাড়ি করে এমপি আনোয়ারুলের দেহাংশ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে দেওয়া হয়।
Advertisement
জিহাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বাসন্তী হাইওয়ের আশপাশে তল্লাশি অভিযান এদিন বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছে তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে বারাসত আদালত থেকে জিহাদকে ১২ দিনের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। চলছে ম্যারাথন জেরা।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছ, ক্রমশ জেরার মুখে ভেঙ্গে পড়ছে জিহাদ। সে জানিয়েছে, এমপি আজিম খুনের পর নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে হাজির ছিলো এই খুনে মূল অভিযুক্ত আমানুল্লাহ। তাকে সুপারি দিয়েছিল মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহিন। ফ্ল্যাটেই ছিল আখতারুজ্জামানের বান্ধবী শিলাস্তা রহমান ও আরও দুই অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর ও ফয়জল। ফ্রিজের ভিতর রাখা ছিল দেহাংশ। আর পাশের ঘরে বসে সারারাত ধরে চলে মদ্যপান ও খাওয়া দাওয়া। এরপর দেহাংশ ভর্তি দুটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে অভিযুক্ত সিয়াম ও জাহিদ। তারা দুজন সাংসদের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটে। দেহের মাংস ও হাড় আলাদা করে ছাড়িয়ে নেয়। যাতে তাড়াতাড়ি না পচে তাই দেহাংশে হলুদ মাখানো হয়। মাংস টুকরো করে ফেলে। গুঁড়িয়ে ফেলা হয় হাড়।
Advertisement
সিআইডিকে জাহিদ জানায়, সিয়ামকে সাথে নিয়ে ভাড়া গাড়ি করে বেরিয়ে যায় এমপির দেহাংশ ফেলতে।