অভিজিৎসহ ৭ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী শরীফ

SHARE

sharif-jong2-SM20160619142139ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত শরীফ লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এছাড়াও আরো ৬ ব্লগার-অ্যাক্টিভিস্ট হত্যাকাণ্ডের তিনিই মূল পরিকল্পনাকারী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

রোববার ( জুন ১৯) বেলা ১২টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন।

এর আগে শনিবার (জুন ১৮) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর খিলাগাঁও মেরাদিয়ার বাঁশপট্টি এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির নিহত হয়।

পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর তার চেহারার সঙ্গে ডিএমপির চিহ্নিত জঙ্গি শরীফের চেহারার মিল পেয়ে পুলিশ তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।

এর আগে চিহ্নিত জঙ্গি শরীফ সম্পর্কে তথ্য দাতাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিল পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল বাতেন বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সময় শরীফ ঘটনাস্থলে ছিল। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজে তার চেহারা স্পষ্ট দেখা গেছে। এছাড়াও তিনি ব্লগার নিলাদ্রী নিলয়, সান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদ মোর্শেদ বাবু, ফয়সাল আরেফিন দীপন, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, সূত্রাপুরের নাজিমুদ্দিন সামাদ, কলাবাগানের জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল। যারা তাদের হত্যা করেছে শরীফ তাদের রিক্রুট করে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তিনি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে।

বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে আবদুল বাতেন বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল মেরাদিয়ায় শরীফ তার সহযোগীদের সঙ্গে থাকতে পারে। তাই শনিবার রাত থেকে ডেমরা-মেরাদিয়া সড়কে অবস্থান নেয় ডিবি। রাত ২টায় সড়কটি দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী যাওয়ার সময় পুলিশ থামার জন্য সিগন্যাল দেয়।

তবে মোটরসাইকেলটি না থেমে পুলিশের উপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলে একজন মারা যায়। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রোববার সকালে পুলিশ শরীফের চেহারা শনাক্ত করেন।

এধরনের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় মূল আসামিরা মারা গেলে তদন্তে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কিনা- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল বাতেন বলেন, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। তারা থাকলে তদন্ত সুবিধা হতো। তবে আমার মনে হয় না এতে কোনো সমস্যা হবে। কারণ অন্যান্য জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দীর ভিত্তিতে তদন্ত চলে।

এদিকে বন্দুকযুদ্ধের সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি মোটরসাইকেল, ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে মে মাসে ৬ জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে ডিএমপি। এতে বিষয়ে তথ্য দিতে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ৬ জনের মধ্যে শরীফের নাম প্রথমে ছিল।