এমপি আনারের দেহাংশ ফ্রিজে রেখে পাশের ঘরে চলছিল মদপান (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),কলিকাতা প্রতিনিধি ,শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার পর ফ্রিজের ভেতরে রাখা হয়েছিল তার দেহাংশ। ওই সময় পাশের ঘরে বসে সারারাত ধরে চলেছিল মদপান ও খাওয়াদাওয়া। পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন শুক্রবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। সেখানে তিনি প্রথমে বরাহনগরে স্থানীয় বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। ১৩ মে তিনি গোপালের বাসা থেকে বেরিয়ে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে যান। ওই ফ্ল্যাটটি আনোয়ারুল আজিমের বন্ধু আক্তারুজ্জামান ভাড়া করেছিলেন। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে স্বর্ণ চোরাকারবার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন তিনি।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল খুনের সময় নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিল মূল অভিযুক্ত আমানুল্লাহ। ফ্ল্যাটেই ছিল আক্তারুজ্জামানের বান্ধবী শিলাস্তা রহমান এবং আরও দুই অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর ও ফয়সাল। ফ্রিজের ভিতর রাখা ছিল আনোয়ারুল আজিমের দেহাংশ। তাতেও কিছু যায় আসেনি অভিযুক্তদের। পাশের ঘরে বসে সারারাত ধরে চলে মদ্যপান ও খাওয়াদাওয়া।

Advertisement

সিআইডি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, খুনের পর দেহাংশ ভর্তি দুটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যায় সিয়াম ও জাহিদ। পেশায় কসাই জাহিদ ও সিয়াম আনোয়ারুল আজিমের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটে। দেহের মাংস ও হাড় আলাদা করে ছাড়িয়ে নেয়। যাতে তাড়াতাড়ি না পচে তাই দেহাংশে হলুদ মাখানো হয়।

সিআইডিকে জাহিদ জানায়, সে ও সিয়াম গাড়ি ভাড়া করে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। দেহাংশ বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে দেওয়া হয়।

Advertisement

 

জাহিদের তথ্য অনুযায়ী, বাসন্তী হাইওয়ের আশপাশে তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তবে দেহাংশ পাওয়া যায়নি। ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার খালে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। দেহ খুঁজতে কাজে লাগানো হচ্ছে ড্রোন। তবে এখনও কিছুই পাওয়া যায়নি।