ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি ,শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
Advertisement
ভারতে চিকিৎসা করাতে যাওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মাননীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকারীদের বিচার চাই ।
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ
শুক্রবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন—শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানউল্লাহ সাঈদ (৫৬), তানভীর ভূঁইয়া (৩০) ও সেলেষ্টি রহমান ওরফে শিলাস্তি রহমান (২২)।
Advertisement
মামলায় মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেছেন, ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলি। বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এর পর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি খুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউ টাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।‘ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। খুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।
এর আগে তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত তাদের ৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা ওই তিনজনের রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। পরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
মামলায় মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেছেন, ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলি। বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এর পর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি খুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউ টাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।‘ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। খুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।
Advertisement
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।