ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),কলিকাতা প্রতিনিধি ,শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সিআইডি। যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার নাম জিহাদ হাওলাদার।
Advertisement
ভারতে চিকিৎসা করাতে যাওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মাননীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকারীদের বিচার চাই ।
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন বলছে, জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং পেশায় তিনি কসাই। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করতেন তিনি।
Advertisement
জিহাদ হাওলাদারকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। হত্যাকাণ্ডের তথ্যের খোঁজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিহাদকে হেফাজতে নেওয়ার চিন্তা করছেন তদন্তকারীরা।
Advertisement
এদিকে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলেও এখনও তার মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গতকাল বলেছেন, আশা করছি খুব শিগগিরই তারা (ভারতীয় পুলিশ) হত্যার শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হবেন।
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বলছে, গত ১২ মে ভারতে যান আনার। তার অন্তত ১০ দিন আগেই কলকাতায় অবস্থান করেন অভিযুক্তরা। ছিলেন ধর্মতলার কাছে সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলের নথি অনুযায়ী, ২ মে থেকে সেখানে থাকছিলেন ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর নামে দুই ব্যক্তি। পরে মুস্তাফিজুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Advertisement
ভারতীয় তদন্তকারীদের ধারণা, আনারকে হত্যা করার পরিকল্পনা অনেক পুরোনো। আর সেজন্য অনেকদিন আগেই কলকাতায় যান ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর। কাজ মিটে গেলে হোটেল ছেড়ে দেন তারা।
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কীভাবে ভারতে খুন করা হয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কোন কৌশলে তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, খুন করা হয়েছে এবং কীভাবে মরদেহ গুম করা হয়েছে এখন সেসব তথ্য বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরমধ্যে ভারতের কলকাতাভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এমপি আনারকে হানি ট্র্যাপে ফেলে— অর্থাৎ তরুণীর মাধ্যমে লোভ দেখিয়ে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, এমপি আনারের ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন হত্যার পুরো পরিকল্পনা সাজান। আর এ কাজে তিনি ব্যবহার করেন শিলাস্তি রহমান নামের এক তরুণীকে। যার প্রকৃত নাম সিনথিয়া রহমান।