সরকারি লোগো লাগানো গাড়িতে ৭ লাখ ইয়াবা! (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),টেকনাফ প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার হচ্ছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়ি। ওই গাড়িতে পাওয়া যায় ৭ লাখ ইয়াবা। পরে ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকারও বেশি বলে জানা গেছে। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবাকারবারি আবদুল আমিনকে (৪০) তার ৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫।

Advertisement

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামের রাজনীতিবিদ ও তরুন নেতা তাজুল ইসলাম তাজ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আনারস মার্কায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

মেঘনাবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।

সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজারো গাড়িতে করে ইয়াবাগুলো কক্সবাজার পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, টেকনাফের পৌরসভার ডেইল পাড়া গ্রামের হাজী মোহাম্মদ আলীর পুত্র আব্দুল আমিন (৪০), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল গ্রামেন আবু সৈয়দ এর ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩৫), একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে

Advertisement

নুরুল আবসার (২৮) ও টেকনাফের ডেইল পাড়া গ্রামের মৃত দীল মোহাম্মদ এর ছেলে জাফর আলম (২৬)।

Advertisement

আব্দুল আমিন কুখ্যাত মাদক কারবারি ইয়াবা সম্রাট ও পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদক চোরাকারবারীর অন্যতম হোতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ কৃত ইয়াবা কারবারি। এছাড়া টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে, তার ভগ্নিপতি রয়েছে। শনিবার র‍্যাব-১৫ কার্যলয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এইসব তথ্য জানায় র‍্যাব-১৫ এর উপ অধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।

Advertisement

তিনি জানান, আটক আবদুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িতেটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতেই ইয়াবা কারবারিরা এই পন্থা অবলম্বন করেছিল বলে জানায় র‍্যাব।

 

এছাড়া আত্মসমর্পণ কৃত ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিনের বিরুদ্ধে কক্সবাজারসহ সারাদেশের বিভিন্ন থানায় ১১টি অধিক মামলা রয়েছে। তার ভাগ্নে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে। নুরুল আবসারে একটি মাদক মামলা আছে। এছাড়া জাফর আলমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে দুইটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

র‍্যাব আরো জানায়, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশে সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা বার্মাইয়া সিরাজ। তার মাধ্যমেই বেশির ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে।