ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ : পুলিশ হেফাজতে রানা নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্তের জন্য পুলিশে ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামের রাজনীতিবিদ ও তরুন নেতা তাজুল ইসলাম তাজ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আনারস মার্কায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মেঘনাবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
পুলিশ হেফাজতে রানা নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্তের জন্য পুলিশে ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে গত বুধবার ( ৮ মে) মামলা দায়ের করেন রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং আদেশের জন্য ১২ মে দিন ধার্য করেন।
ওসি ফরমান আলী ছাড়া অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, পুলিশের এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, মো. মিজানুর রহমান, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, জোনাব আলী, মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম।
Advertisement
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বাদীর স্বামী মো. রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান। সেখানে তারা রানাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালান। এমনকি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেন এবং বুকের মাঝে ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনান এবং বলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মারধর বন্ধ হবে।
তখন বাদী বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, যা পারি জোগাড় করে নিয়ে আসছি। আপনারা আমার স্বামীকে বাঁচান।’
এরপর বাদী ২০ হাজার টাকা এনে সবুজের হাতে দেন। তখন বাদীকে এসআই মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বাদীকে গালিগালাজ করেন। এসময় বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
Advertisement
বাদীকে পুলিশ পেটাতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে তার ছোট ছেলে রাতুল অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হয়। পরে পুলিশ বাদীকে আদালতে গিয়ে রানার খোঁজ নিতে বলেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ আদালতে যান বাদী। রানার সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানকার হাজতখানায় যান তিনি। সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন বাদী। এরপর ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে গিয়ে রানাকে দেখার জন্য টিকিট কাটেন।
Advertisement
জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায়, রানা জেলে নেই। তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে আবার যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন। থানা থেকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান। পরদিন ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে। সেখানে গিয়ে বাদী ভিকটিম রানাকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।