সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সরকারি কাজে নিযুক্ত আরও দুইজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামের রাজনীতিবিদ ও তরুন নেতা তাজুল ইসলাম তাজ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আনারস মার্কায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

মেঘনাবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।

বৃহস্পতিবার সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান।

এতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্ন ও রেজিস্ট্রি ঘষামাজা করে আয়, সম্পদ ও পারিবারিক ব্যয়ে পরিবর্তন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- ঢাকার কর অঞ্চল-৪ এর সার্কেল-৭৯ নম্বরে কর্মরত উপ কর কমিশনার খন্দকার মো. হাসানুল ইসলাম এবং কর অঞ্চল-৮ এর সার্কেল-১৬৫ নম্বরের অবসরপ্রাপ্ত উচ্চমান সহকারী হিরেশ লাল বর্মণ।

Advertisement

অর্থ, মানবপাচার এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের জুনে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনায় আসেন পাপুল। পরে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত। এরপর পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

Advertisement

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। পরে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হন।

Advertisement

এদিনের মামলায় দুদকের পক্ষে অভিযোগে বলা হয়েছে, জেসমিন প্রধান ২০২১ সালের শেষের দিকে কোনও এক সময় কর সার্কেল-১৬৫, কর অঞ্চল-০৮, এর অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে তড়িঘড়ি করে দাখিল করেন।

Advertisement

এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চোখে ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কর সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমার্জন হয়েছে। যার প্রমাণ মিলেছে দুদকের জব্দ করা নথিপত্রেও।