সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,  বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্ন ও রেজিস্টার ঘষামাজা করে আয়, সম্পদ ও পারিবারিক ব্যয়ে পরিবর্তন করার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামের রাজনীতিবিদ ও তরুন নেতা তাজুল ইসলাম তাজ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আনারস মার্কায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

মেঘনাবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


মামলার অন্য দুই আসামি হলেন: কর অঞ্চল-৪-এর উপকর কমিশনার খন্দকার মো. হাসানুল ইসলাম ও কর অঞ্চল-৮-এর উচ্চমান সহকারী হিরেশ লাল বর্মণ।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেসমিন প্রধান তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে কর অঞ্চল-৮-এর ১৬৫ নম্বর সার্কেল অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে ২০১৬-১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২১ করবর্ষ পর্যন্ত মোট পাঁচটি করবর্ষের আয়কর রিটার্ন রেজিস্টারে এন্ট্রি করান। সেই রেকর্ড থেকে মোট আয়ের কলামে ঘষামাজা করে বিভিন্ন সংখ্যা বসানো হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। এছাড়া রিটার্ন রেজিস্টারে পারিবারিক ব্যয়ের যে তথ্য লেখা রয়েছে, তা আয়কর রিটার্নে ভিন্ন পাওয়া যায়।
আয়কর নির্ধারণী আদেশপত্রে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর রিটার্ন দাখিলের তারিখেই করদাতাকে ওই মাসের ৩১ তারিখে শুনানির জন্য ৭৯ ও ৮৩(১) ধারায় নোটিশ জারি করা হয়েছিল। সার্কেল কর্মকর্তা খন্দকার মো. হাসানুল ইসলামের কাছে করদাতার পক্ষে আয়কর আইনজীবী মো. আদনান শুনানি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে ২০২০-২১ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

Advertisement


পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৬-১৭ করবর্ষের ৩০ নভেম্বর চালানের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা, ২০১৭-১৮ করবর্ষের ২৯ নভেম্বর ৫ হাজার টাকা, ২০১৮-১৯ করবর্ষের ২ ডিসেম্বর চেকের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধিত হয়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইস্যু করা চেকের ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বরের ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯ টাকার চেক, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর ইস্যু করা চেকের ৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৬২ টাকা এবং ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ৯ লাখ ৬০ হাজার ৬২৩ টাকার চেক জমা হয়নি। ওই চারটি চেক সরকারি কোষাগারে জমা না হওয়ার কারণ সেটা পরবর্তী সময়ে দাখিল করা বলে দুদক মনে করছে।

Advertisement

মামলার বাদী ও দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করে আগের আয়কর রিটার্ন পরিবর্তন করে মনগড়া আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে মোট আয়, মোট সম্পদ, নিট সম্পদ, পারিবারিক ব্যয় ইত্যাদির টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমার্জন করা হয়। এসব প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আসামিরা দণ্ডবিধি ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

Advertisement


উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক। আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।