ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ : দেশ ও দেশের বাইরে সুন্দরী নারী সরবরাহকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ চক্রের প্রধান সামিনা আলম নীলা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৬ হাজার সুন্দরী নারী সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে ডিবি। এসব নারীর মধ্যে শিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েরাই বেশি।
Advertisement
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামের রাজনীতিবিদ ও তরুন নেতা তাজুল ইসলাম তাজ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আনারস মার্কায় বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মেঘনাবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের প্রধান সামিনা আলম নীলা, তার সহযোগী সৌরভ ইসলাম, চৈতি, তাসনিয়া বেলা, সাকিব আহম্মেদ ও মানসিব হায়াত।
Advertisement
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে জানাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি ঢাকা থেকে সারাদেশের বিনোদন স্পটসহ দেশের বাইরে দীর্ঘদিন ধরে নারী সরবরাহ করে আসছিল। নারীর সঙ্গে সঙ্গে তারা ইয়াবাও সরবরাহ করেছে। এছাড়া, চক্রটি ঢাকায় ভুয়া পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালায়।
Advertisement
গ্রেপ্তার সাকিব ও পলাতক চৈতি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাগুলো তত্ত্বাবধায়ন করতো বলে জানান ডিবিপ্রধান। এসব বাসায় কাউকে নিয়ে গেলে আত্মীয় বলে পরিচয় দিত তারা।
ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার সাকিব অভিজাত এলাকায় চলাফেরা করতো এবং নিজেকে সচিবের ছেলে বলে পরিচয় দিত। তার গাড়িতে পতাকা লাগানো ছিল, সঙ্গে বডিগার্ড রাখতো। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার বাবা লেখাপড়াই জানেন না। সম্প্রতি সাকিব সোনালী নামে এক মেয়ের কাছ থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। সচিবের ছেলে পরিচয়ে এসব প্রতারণা করতো সে।
Advertisement
তদন্তে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হবে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, সমাজের গণ্যমান্য বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে তারা নারী সরবরাহ করত বলে তথ্য পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। চক্রটি অনেক জায়গায় অসংখ্য নারী সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে আদৌ কেউ বিদেশে পাচার হয়েছে কি-না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া কেউ তাদের নির্ধারিত বাসায় গেলে সহযোগীরা তাদের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে মাসের পর মাস ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করত। পরিবারকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগও পেয়েছি।
Advertisement
উল্লেখ্য, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ও হোটেলে সুন্দরী নারী সরবরাহ করে আসছিল। অবশেষে ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তারা।