ঢাকা: রাজধানীর বনশ্রী-আফতবনগর এলাকার ইস্টার্ন হাউজিং এর প্রজেক্টে কতটি জলাধার আছে তা নির্নয়ের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর একজন অধ্যাপকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি করে জলাধারের সংখ্যা ও জমির পরিমাণ নির্ণয় করে ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
আদালতের এ আদেশ কার্যকর করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
আপিল বিভাগের দেওয়া এ আদেশের লিখিত অনুলিপি বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বের হয়। পরে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
ইস্টার্ন হাউজিংয়ে কতটি জলাধার ও জলাভূমি ছিলো তা নির্ণয়ে হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আবেদন করেছিলেন মনজিল মোরসেদ।
১০ মে এ আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যান মনজিল মোরসেদ।
আপিল বিভাগে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। আবেদনের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, বুয়েট অধ্যাপকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), পরিবেশ বাঁচাও , পরিবেশ মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জরিপ অধিদপ্তরের একজন করে সদস্য থাকবেন।
মনজিল মোরসেদ আরো জানান, ওই প্রজেক্টে ৯০০ একরের ওপর জমি আছে। এখানে অনেক জলাধার ভরাট করা হয়েছে। এখনো অনেক জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে। তাই আমরা জলাধার রক্ষায় পরিবেশ ও জলাধার আইনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে আবেদন করি।