ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(ভিডিও),ঢাকা প্রতিনিধি ,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ : ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিরা যেন কোন রকম হস্তক্ষেপ না করে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Advertisement
তারা বলছেন, এখন সবার নজর তৃণমূলে। নির্বাচন মাঠে প্রার্থীরা যেহেতু বেশিরভাগই আওয়ামী-লীগের সেক্ষেত্রে কেন্দ্রী নেতাদের হস্তক্ষেপ থাকলে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট অবস্থান সেসব শঙ্কাকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই এবার দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চাইছেন উপজেলাগুলো।
এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার ব্যাপারে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় করে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা এবং বিভিন্ন মহলকে এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে কোনও কারচুপি করা হবে না। দলীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হবে না, মন্ত্রী-এমপিরা এবং আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের নিজের প্রার্থীকে যদি জিতিয়ে আনার জন্য কোন অবৈধ উপায় বেছে নেন বা কারচুপি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুধু আওয়ামী লীগ নেতাদের নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রশাসনের কেউ যেন নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন না করে, কোনো প্রার্থীকে জেতানোর দায়িত্ব গ্রহণ না করে সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
যে জিতবে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন এ রকম একটি বার্তা ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে চলে গেছে। যার ফলে মন্ত্রী-এমপিরা তার পছন্দের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বাহিনীর দ্বারস্থ হলেও সেখানে তারা কোন ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন না।
প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা-বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী-মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে।
Advertisement
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় মনে করেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের রাজনীতিকে শুদ্ধ করে তুলবে। মন্ত্রী এমপিরা সতর্ক থাকলে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জায়গায় খুব বেশি চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হবে না। এলাকায় যদি আওয়ামী-লীগের নিজেদের প্রার্থীর মধ্যে সংঘাত থাকে, স্থানীয় প্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে তা গতি পাওয়ার শঙ্কা থাকে। ফলে নির্বাচনের এতো আগে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়ার কারণে মন্ত্রী এমপিরা সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক হবে। এটা বেশ ইতিবাচক ফল আনবে।