ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(ভিডি), বান্দরবান প্রতিনিধি, রোববার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৪ চৈত্র ১৪৩০ : বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও ব্যাংক কর্মকর্তাকে অপহরণের মাধ্যমে শান্তি আলোচনা ভেস্তে দেওয়ায় পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।
Advertisement
রোববার বান্দরবানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এর আগে ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শনে যান সেনাপ্রধান।
জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অপারেশন শুরু হয়ে গেছে। কিছু আপনারা দেখবেন, কিছু দেখবেন না। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমন্বিত কার্যক্রম চলছে। আমরা নেতৃত্ব দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে সক্ষম বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকজনকে ধরেছে। গতকাল দুইটা অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে সেটা চুরি যাওয়া অস্ত্র কিনা, তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফের সন্ত্রাসীরা রুমা ও থানচির দুটি সরকারি ব্যাংকের তিন শাখায় হামলা চালায়।
Advertisement
লুটপাট ছাড়াও অস্ত্রের মুখে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলিও লুট করে সন্ত্রাসীরা। পরে র্যারের মধ্যস্ততায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়।
সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আলীকদম উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ তল্লাশি চৌকিতেও হামলা চালায়। এরপর কেএনএফকে দমন করতে সরকারের পক্ষ থেকে যৌথ অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় সরকার।
সেনাপ্রধান বলেন, শান্তি আলোচনা শুরুর পর তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু তারা যেহেতু বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে, সুতরাং আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
সন্ত্রাসবিরোধী চলমান অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যা চাচ্ছে, সেভাবে অভিযান এগোবে। মানুষের উপর হামলা আমাদের কাজ নয়।
‘সন্ত্রাসীরা সংগঠিত নয়। তারা বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে আছে। তথ্য নিশ্চিত হয়েই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে,’ যোগ করেন জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার চুক্তিভঙ্গ করে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় কেএনএফের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনা স্থগিত করার ঘোষণা দেয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।
Advertisement
এদিকে ব্যাংক লুট ও সশস্ত্র হামলার পর এখন অনেকটাই শান্ত সেখানকার পরিস্থিতি। তবে আতঙ্ক কাটেনি সাধারণ মানুষের।
থানচি বাজারে পুলিশের টহল থাকায় দোকান খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।