ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(ভিডি),ঢাকা প্রতিনিধি, রোববার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৪ চৈত্র ১৪৩০ : কেএনএফের হামলার চারদিন পরও আতঙ্ক কাটেনি বান্দরবানের থানচি ও রুমায়। থমথমে পরিস্থিতিতে সেখানে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, হামলাকারীদের কোনো ছাড় নয়। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, পাশের দেশের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ব্যবহার করছে কেএনএফ।
Advertisement
এখনও যেন আতঙ্ক কাটছে না রুমা সদরে। যেখানে গেল ২ এপ্রিল রাতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালায় কেএনএফ। সেই ঘটনার পর থেকে থমথমে পাহাড়ি এই উপজেলা শহর। ফেরেনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
ঘটনায় জড়িতদের ধরতে চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে রুমা পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাথে ছিলেন পুলিশ প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থল সোনালী ব্যাংক, উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদসহ বিভিন্ন স্পট। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের কাছে শোনেন ঘটনার বিস্তারিত। কথা বলেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। পরে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের কোন ছাড় নয়। হামলা রুখতে কারও প্রশাসনের ব্যর্থতা থাকলে খতিয়ে দেখে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
Advertisement
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রুমা এমন একটি জায়গায়, যে জায়গায় কোনো দিন এ ধরনের একটা অশান্ত পরিবেশ হবে আমরা চিন্তা করিনি। আমরা সব সময় দেখেছি, শান্তি প্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকেন। হঠাৎ করে এই ঘটনা কেন ঘটল, এটাই আজকে আমাদের কাছে প্রশ্ন।
তিনি বলেন, ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধ হয় অর্থ সংগ্রহ করা, এখন পর্যন্ত আমরা যা মনে করছি। আমরা সব কিছুই দেখব। অস্ত্র সহকারে এবং পোশাক সহকারে এখানে ঢুকবে; আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়। যা করার নিরাপত্তা বাহিনী এখন সেটা করবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা কোনো ক্রমেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেবো না। এই শান্তি প্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সব সময় বইতো, এখানে অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না। আমরা অবশ্যই এর কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবগুলো বের করব এবং আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
মন্ত্রী পরে বান্দরবান সদরে বৈঠক করেন প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান ও জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে। নির্দেশ দেন যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাসীদের নির্মূলের।
হামলাকারীদের সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র এসেছে বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
Advertisement
এদিকে, দুদফা হামলার পর আতঙ্ক আছে থানচিতেও। সেখানেও জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়নি। দোকানপাট খুলেছে খুবই কম। শনিবারও কিছু মানুষকে দেখা গেছে ভয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে।