পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ চায় কেএনএফ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(ভিডি),বিশেষ প্রতিনিধি, রোববার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৪ চৈত্র ১৪৩০ : শুরু থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসিত পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। নয়টি উপজেলা নিয়ে তারা পৃথক রাজ্য গঠন করতে চাচ্ছিল। এবার সেই দাবি থেকে সরে এসেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র এ গোষ্ঠী। তারা ওই অঞ্চলের সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছে।

Advertisement

‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ নামে একটি পরিষদ গঠন করতে চায় এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যার মাধ্যমে ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে চায়। এছাড়া কুকি-চিন আর্মড ব্যাটালিয়ন (কেএবি) নামে একটি সশস্ত্র বাহিনী করার দাবিও জানায়।

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এসব দাবি জানায় কেএনএফ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ নামের একটি ফেসবুক পেজে দাবি সংবলিত পোস্টটি করা হয়।

jagonews24

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ‘কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার। ভারতের মিজোরামে বসবাসরত বম জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের পালেতুয়া এলাকায় খুমি ও ম্রো জনগোষ্ঠীর লোকজনকে ফিরিয়ে আনা।’

Advertisement

এর আগে বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির দুই দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি তৃতীয় দফা সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও এর আগেই মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় ও বুধবার থানচিতে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ব্যাংকে লুটপাট করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এ হামলার জন্য দায়ী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট।

আরও পড়ুন

এদিকে তিনটি ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার কথা জানান তিনি।

ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় বেলা ১১টায় রুমা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, আনসার ব্যারাক, সোনালী ব্যাংক ও মসজিদ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Advertisement

তিনি বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা একসময় খুব শান্তিপ্রিয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের মতো বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে। এর আগেও এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। এসব কার্যক্রম আমরা আন-চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবো না। এদের পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কি না তা বের করে আনা হবে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে।