প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতের পাওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ যেহেতু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো, সেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকাই ছিল বাকি অপশন; কিন্তু যুব বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা চরম হতাশ করে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। সুযোগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো নামিবিয়া। ভারতের জন্য সেমি ফাইনালে ওঠাটাই যেন খুব সহজ করে দিল গ্রুপ পর্ব। কারণ, দু’দলের মধ্যে যে জোযন জোযন দুরত্ব!
মাঠের খেলায়ও সেটা প্রমাণ হলো। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে নামিবিয়াকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় যুবারা নামিবিয়ার সামনে ৩৪৯ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ ওভারে ১৫২ রানেই শেষ হয়ে যায় নামিবিয়ার ইনিংস। ফলে ১৯৭ রানে নামিবিয়ান যুবাদের হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললো ভারতীয় যুবারা।
ভারতের দেয়া ৩৪৯ রান তাড়া করতে নেমে লোফটি ইটন এবং নিকো ডাভিন মিলে ভালোই সূচনা এনে দিয়েছিল নামিবিয়াকে। দুই ওপেনার মিলে ৫৯ রান তোলেন ৯.৩ ওভারেই। নামিবিয়ার প্রত্যাশার মাত্রা শেষ হয়েছিল সেখানেই। দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করে নিকো ডাভিন আউট হওয়ার পরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নামিবিয়ার ব্যাটসম্যানরা। অধিনায়ক জেন গ্রিন নেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান। জার্গেন লিন্ডে করেন ২৫ রান এবং লোফটি ইটন করেন ২২ রান। বাকিরা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে।
মায়াঙ্ক দাগার এবং আনমলপ্রিত সিংয়ে তোপের সামনে ৩৯ ওভারে মাত্র ১৫২ রানেই অলআউট হয়ে যায় নামিবিয়া। দু’জনই নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ১টি করে উইকেট নেন খলিল আহমেদ, রাহুল বাথামে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার রিশাবন পান্তের অনবদ্য সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করে ভারত। ৯৬ বলে ১১১ রান করেন তিনি। ১৪টি বাউন্ডারি আর ২টি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি।
এছাড়া সরফরাজ খান করেন ৭৬ বলে ৭৬ রান। আরমান জাফর করেন ৫৫ বলে ৬৪ রান। মহিপাল লমরর খেলেন ২১ বলে করেন ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস। নামিবিয়ার পক্ষে ফ্রিটজ কোয়েৎজি ৭৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।