শিয়া-সুন্নি দুই গোষ্ঠীকে এক করেছে ইসরাইলের সংঘাত (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রতিনিধি,বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪  : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাতের পর থেকে লেবানন সীমান্তে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়েছে শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের মোকাবিলায় এবার হিজবুল্লাহর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লেবাননের সুন্নি রাজনৈতিক গোষ্ঠী আল-জামা আল-ইসলামিয়া।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে দুটি গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।

 

আল-জামা আল-ইসলামিয়ার মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ তাক্কুশ বলেন, গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা ও লেবাননের বিভিন্ন শহরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলার জবাব দিতে তার দল হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবানন সীমান্তে সাংবাদিকসহ বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
 
মোহাম্মদ তাক্কুশ বলেন, 

জাতীয়, ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব থেকে আমরা যুদ্ধে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের ভূমি এবং জন্মস্থান রক্ষার জন্যই এটা করছি।

বৈরুতে আল-জামা আল-ইসলামিয়া দলের কেন্দ্রীয় অফিসে তিনি আরও বলেন, গাজায় আমাদের ভাইদের বাঁচাতে হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক হয়ে লড়াইয়ে নামব।

Advertisement

 

 
ইসরাইল গাজায় ‘প্রকাশ্যে গণহত্যা’ চালাচ্ছে উল্লেখ করে লেবানেরর এই সুন্নি নেতা বলেন, 

তিনি মনে করেন ‘শুধু ফিলিস্তিনেই নয়, লেবাননেও আরও অঞ্চল দখল করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে ইসরাইলের।

 

আল-জামা আল-ইসলামিয়া লেবানের একটি অন্যতম প্রধান সুন্নি ইসলামিক দল। লেবাননের ১২৮ আসনের আইনসভায় দলটির প্রতিনিধি রয়েছে।
 
যদিও লেবাননের রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে হিজবুল্লাহর। দেশটিতে সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে তাদের। তবে সুন্নিদেরও কিছু প্রভাব রয়েছে।
সারা বিশ্বে মুসলিমরা মূলত শিয়া ও সুন্নি এই দুই ভাগে বিভক্ত। শিয়া-সুন্নি বিভাজনের শুরুটা হয়েছিল ৬৩২ সালে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর। সেসময় মুসলিমদের নেতৃত্ব কে দেবে সেখান থেকে সূত্রপাত হওয়া দ্বন্দ্ব এখনও এই বিভাজন টিকিয়ে রেখেছে।
 
যদিও উভয় সম্প্রদায়ই বহু শতাব্দী ধরে একসঙ্গে বসবাস করে আসছে। দুই দিকের বিশ্বাস ও রীতিনীতিতেও অনেক মিল রয়েছে। কিন্তু মতবাদ, ইবাদত, শরিয়াহ ও নেতৃত্বের ব্যাপারেও তাদের মতভেদ রয়েছে।

Advertisement

 
বিশ্বের অনেক মুসলিম প্রধান দেশ সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও এর ঐতিহ্য সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে সৌদিতে। হামাস একটি সুন্নি গোষ্ঠী হলেও কয়েক দশক ধরে শিয়া অধ্যুষিত ইরানের মিত্র। আবার মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য গোষ্ঠী যারা হামাসকে সমর্থন করেছে ও এ যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা হলো লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তারা উভয়ই শিয়া গোষ্ঠী যারা তেহরানের মিত্র। 
লেবাননের সুন্নিভিত্তিক দল আল-জামা আল-ইসলামিয়ার মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ তাক্কুশ। ছবি: সংগৃহীত