ইসরাইলের ওপর চটেছে বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র! (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪  : আসলে কী চাইছেন ইসরাইলি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু? কাউকেই যেন তোয়াক্কা করছেনা না এই তিনি। ধীরে ধীরে পশ্চিমারাও হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন, গাজায় ফিলিস্তিনের আগ্রাসন বন্ধে দিচ্ছেন হুমকি-ধামকি। তবুও দু’হাত দিয়ে কান বন্ধ করে আছেন তিনি। নিজের জায়গাতেই অনঢ় নেতানিয়াহু। এমনকি তাকে বোঝাতে সম্প্রতি ইসরাইল সফরেও গিয়ে মন গলাতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

Advertisement

ব্লিঙ্কেনের ইসরাইল সফরের বার্তা ছিলো একটাই, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যদি ফিলিস্তিনের রাফা শহরে হামলা চালান, তবে বৈশ্বিক পর্যায়ে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন সতর্কবার্তা দেন তিনি। গাজায় ত্রাণসহায়তার সুযোগ দিতে ও সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন ব্লিঙ্কেন। কিন্তু তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে তেল আবিব থেকে খালি হাতেই ফেরেন ব্লিঙ্কেন।

এমন এক সময়ে ব্লিঙ্কেন ইসরাইল সফর করলেন যখন, যুদ্ধবিরতিতে যেতে বৈশ্বিক চাপে রয়েছে ইসরায়েল। এরপরও রাফাতে হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কোনো ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে না পেলে প্রয়োজনে ইসরায়েল একাই রাফায় হামলা চালাবে। ব্লিঙ্কেন বলেন, রাফায় বড় অভিযান চালিয়ে হামাস দমন করা যাবে না, বরং বিশ্বজুড়ে ইসরাইলকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

ব্লিঙ্কেনের সুরে সুর মিলিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। বলেছেন, রাফাতে ইসরাইলি হামলা হবে- বড় ভুল। এমনকি শহরটিতে আশ্রিতদের যাওয়ার জায়গা নেই বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। এবিসি নিউজকে বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে, রাফাতে বড় সামরিক অভিযান বড় ভুল হবে। শুধু তাই নয়, রাফাহতে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর যাওয়ার জন্য কোথাও কোনও জায়গা নেই।

Advertisement

রাফাহতে ইসরাইলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে হ্যারিস বলেন, তারা ধাপে ধাপে এটি গ্রহণ করবে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সবকিছুই বিবেচনার মধ্যে থাকবে। এ সময় নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যার বিরোধিতা করেন কমলা হ্যারিস। ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি-সবার ‘সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদার’ সঙ্গে বসবাসের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করতেও আহবান জানান তিনি।

শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ইসরাইলি নেতাকে। নেতানিয়াহু ইসরাইলের ক্ষতি করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, নেতানিয়াহু প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ব্যাখ্যা করেছেন যে কেন তিনি রাফাতে ইসরাইলের বড় পরিসরের সামরিক অভিযান পরিচালনার সম্ভাবনা নিয়ে এতো গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

Advertisement

এর আগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাতে হামলার অনুমোদন দেয় দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত ১৫ মার্চ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায় নেতানিয়াহুর দপ্তর। এরপর থেকেই রাফাতে হামলার অনুমতি দেয়ার বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র।