ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ : কখনো অতিরিক্ত সচিব, কখনো পুলিশ সুপার, আবার কখনো সেনাবাহিনী কর্মকর্তা, লন্ডন ও আমেরিকা প্রবাসী এবং শিল্পপতির পরিচয়ে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। অবশেষে নানা পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারী সেই চক্রের তিন সদস্যকে ভোলার লালমোহন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে গ্রেফতার ওই তিন সদস্যকে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২৪ মার্চ) রাতে ভোলার লালমোহন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোহাম্মদ ইমাম শাহজাদা বাসানি ওরফে সাইফুল ইসলাম (৫০) ও তার দুই সহযোগী মোহাম্মদ জসিম হাওলাদার (৩৫) এবং মোহাম্মদ আলমগীর হাওলাদার (৪৩)।
ওসি মোহাম্মদ জসিম জানান, মোহাম্মদ ইমাম শাহজাদা বাসানি ওরফে সাইফুল ইসলামের প্রতারণার শিকার দুমকি উপজেলার লেবুখালী এলাকার বাসিন্দা মো. শাকুর হাওলাদার গত ২৪ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহণ করা হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালানো হয়। সর্বশেষ রোববার রাতে ভোলার লালমোহন এলাকায় ইমাম শাহাজাদার শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মোহাম্মদ ইমাম শাহজাদা বাসানি ওরফে সাইফুল ইসলামের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় আরও ১১টি মামলা চলমান রয়েছে। এই প্রতারক চক্রের প্রধান বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নাম নিয়ে কখনও সচিব, কখনও পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী কর্মকর্তা, লন্ডন ও আমেরিকা প্রবাসী এবং শিল্পপতিসহ নানা পরিচয় প্রদান করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছিলো। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আমার এক আত্মীয় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি থাকায় অপারেশন করানোর জন্য তাকে ফোন দিলে পরদিনই তিনি অপারেশনের ব্যবস্থা করে দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি আমার স্ত্রী এবং আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেয়াসহ আমাকে একটি ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনে দেয়ার প্রস্তাব রাখেন।
সর্বশেষ গত ২৬ জানুয়ারি সকালে তার ফোনে কল করলে তিনি চাকরি দেয়াা বা টাকা নেয়ার বিষয় অস্বীকার করেন। এদের প্রতারণায় আমি সর্বশান্ত; ওই প্রতারকদের বিচার চাই।
পটুয়াখালী সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, এনআরবিসি ব্যাংকের একটি চেক বই, একটি পাসপোর্ট, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ভিজিটিং কার্ড এবং মোবাইল ফোনের তিনটি সিম জব্দ করা হয়।
ওসি মোহাম্মদ জসিম জানান, মোহাম্মদ ইমাম শাহজাদা বাসানি ওরফে সাইফুল ইসলামের প্রতারণার শিকার দুমকি উপজেলার লেবুখালী এলাকার বাসিন্দা মো. শাকুর হাওলাদার গত ২৪ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহণ করা হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালানো হয়। সর্বশেষ রোববার রাতে ভোলার লালমোহন এলাকায় ইমাম শাহাজাদার শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মোহাম্মদ ইমাম শাহজাদা বাসানি ওরফে সাইফুল ইসলামের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় আরও ১১টি মামলা চলমান রয়েছে। এই প্রতারক চক্রের প্রধান বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নাম নিয়ে কখনও সচিব, কখনও পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী কর্মকর্তা, লন্ডন ও আমেরিকা প্রবাসী এবং শিল্পপতিসহ নানা পরিচয় প্রদান করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছিলো। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
মামলার বাদী মো. শাকুর হাওলাদার বলেন, গত ৬ মাস আগে ইমাম শাহাজাদার সঙ্গে সদর উপজেলার শারিকখালী বাস মালিক সমিতির চেকপোস্টে বসে পরিচয় হয়। তিনি আমার কাছে নিজেকে লোক প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দিয়ে কলাপাড়া যাওয়ার জন্য একটি এসি বাসে তুলে দেয়ার অনুরোধ জানান এবং আমাকে একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে কোনো সহায়তার দরকার হলো ফোন করতে বলেন।
আমার এক আত্মীয় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি থাকায় অপারেশন করানোর জন্য তাকে ফোন দিলে পরদিনই তিনি অপারেশনের ব্যবস্থা করে দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি আমার স্ত্রী এবং আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেয়াসহ আমাকে একটি ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনে দেয়ার প্রস্তাব রাখেন।
আমি তার প্রস্তাবে রাজি হলে তার বিনিময়ে তিনি আমাকে ২৮ লাখ টাকা দেয়ার জন্য বলেন। এরপর তাকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পটুয়াখালী শাখা থেকে ডাচবাংলা ব্যাংক, শান্তিনগর, ঢাকা শাখা ও ইসলামী ব্যংক ও বিকাশে ছাব্বিশ লাখ ৫৭ হাজার টাকা দেই। টাকা দেয়ার পরে চাকরি ও ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি দেয়ার কথা বললেও দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করা হয়।
Advertisement
সর্বশেষ গত ২৬ জানুয়ারি সকালে তার ফোনে কল করলে তিনি চাকরি দেয়াা বা টাকা নেয়ার বিষয় অস্বীকার করেন। এদের প্রতারণায় আমি সর্বশান্ত; ওই প্রতারকদের বিচার চাই।