ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ : চট্টগ্রামে প্রায় ৫০টির বেশি স্পটে প্রকাশ্যে পরিবহনে চাঁদাবাজি করছে শতাধিক চক্র। বাদ যাচ্ছে না ভোগ্যপণ্যবাহী পরিবহনও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, এসব স্পটে দৈনিক আদায় হয় কয়েক কোটি টাকা। চাঁদাবাজদের এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অনেক রাজনৈতিক ও পরিবহন নেতাও।
Advertisement
অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলছে ইমরানসহ কয়েক যুবক। আর অটো টেম্পু থেকে চাঁদা আদায় করছে সুমন ও মুন্না নামে দুজন। তবে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরা দেখে দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে চাঁদাবাজরা। এ সময় হাতে নাতে তাদের কয়েকজনকে ধরা গেলেও টাকা আদায় নিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি ।
যানবাহন চালকদের অভিযোগ, বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে প্রতিটি যানবাহন থেকে চাঁদা তোলে তারা। না দিলে করে হয়রানি। এমন চিত্র শহরের আরও বিভিন্ন পয়েন্টে।
যাত্রীবাহী গাড়ির পাশাপাশি চাঁদা দিতে হয় ভোগ্যপণ্যবাহী যানবাহনকেও। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোগ্যপণ্য আসে খাতুনগঞ্জ, ফলমন্ডী, রেয়াজউদ্দিন বাজার, পাহাড়তলীসহ বিভিন্ন এলাকায়। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, চাঁদা গুনতে হয় প্রতিটি পণ্যবাহী ট্রাককে। ফলে বেড়ে যায় পণ্যের দাম।
Advertisement
পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, প্রতিটা সিএনজি থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে। সিগন্যাল দিয়ে কাগজপত্র চেক করে। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও টাকা দিতে হয়, আবার না থাকলেও টাকা দিতে হয়।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, চট্টগ্রাম মহানগরের প্রবেশমুখ কাপ্তাই রাস্তার মাথা, কর্ণফুলি, অক্সিজেন ও সিটি গেইট ছাড়াও পরিবহনে চাঁদা আদায় হয় এমন স্পট আছে ৫০টির বেশি। এতে দৈনিক আদায় হয় কয়েক কোটি টাকা।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, স্পটগুলোতে কার নেতৃত্বে এবং কারা চাঁদা আদায় করছে, সেটা আমরা কালেক্ট করছি। আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখবো।
Advertisement
সিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, পণ্য পরিবহনের সময় তথাকথিত বিভিন্ন ফেডারেশন এমনকি আমাদের পুলিশ সদস্যও যদি জড়িত থাকে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
এসব স্পটে চাঁদা আদায়ে জড়িত চক্রের সংখ্যাও শতাধিক। তাদের পেছনে আছে অনেক রাজনৈতিক ও পরিবহন নেতাও।