বেড়েছে হাতির আনাগোনা, প্রয়োজন সোলার ফেন্সিং (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি,সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪  :রাঙ্গামাটির লংগদুতে লোকালয়ে বেড়েছে হাতির আনাগোনা। উপজেলার সীমান্তবর্তী ৬০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হাতির এই চলাচল। আগে ফসলের মৌসুমে হানা দিলেও এখন সারা বছর ধরে হাতির আনাগোনা থাকে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে ফসলের খেত ও বাড়িঘরে হামলা বেড়েছে। এলাকায় ১২-১৩টি হাতির পাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

বনবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও সোলার ফেন্সিং প্রয়োজন। রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা ভাসান্যাদম, বগাচতর ও গুলশাখালীর ৬০ কিলোমিটারের পুরো এলাকা চষে বেড়ায় হাতির পাল। আগে ফসলের মৌসুমে হাতির দল হানা দিত, সম্প্রতি সারাবছর ধরে চলে হাতির আনাগোণা। অনেকসময় সেটি পরিণত হয় তাণ্ডবে।

Advertisement

ভুক্তভোগীরা জানান, বর্তমানে এলাকায় ১২-১৩টি হাতির পাল প্রায় নিয়মিত চলে আসছে লোকালয়ে। নষ্ট করে ফসল, ঘরবাড়ি। মশাল জ্বালিয়ে, হই-হুল্লোড় করে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে এলাকাবাসী।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ধার দেনা করে ফসল ফলাই। সেই ফসল যখন পাকে কাটতে যাওয়ার আগেই হাতি এসে নষ্ট করে ফেলে। বন বিভাগ থাকলেও কোনো উপকার পাওয়া যাচ্ছে না।

স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করা এলিফ্যান্ট রেস্কিউ টিমের সদস্যরা জানান, হাতি রক্ষায় মানুষকে সচেতন করেন তারা। এছাড়াও হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের বন বিভাগ থেকে সহায়তা নিশ্চিত করেন। এমন কাজের জন্য সরকারি প্রণোদনা চান এই স্বেচ্ছাসেবীরা।

Advertisement

বনবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, পার্বত্যাঞ্চলের হাতিপ্রবণ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি উদ্যোগে হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে সোলার ফেন্সিং সিস্টেম চালু হলেও লংগদুতে এটা এখনো চালু হয়নি।

সোলার ফেন্সিং একটি আধুনিক প্রযুক্তি, যার দ্বারা বন্য হাতির পাল লোকালয়ে আসতে চেষ্টা করতে চাইলে সোলার ফেন্সিংয়ের হালকা বৈদ্যুতিক শক খেয়ে চলে যাবে, তবে এতে বন্য হাতির প্রাণহানি ঘটবে না।

Advertisement

লংগদুর উল্টাছড়ি রেঞ্জের বন কর্মকনর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের টিম আছে। তারা তদন্ত করে দেখে। তারপর যে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য তা দেয়া হয়। বন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটা ডিভিশন প্রত্যেকটা রেঞ্জে জনগণকে সচেতন করার জন্য লিফলেট, মাইকিং করে জানানো হয়।

গত এক বছরে এ এলাকায় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। আহত হয়েছে অনেকেই। হাতির আক্রমণে নিহতদের তিন লাখ, আহতদের এক লাখ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা দেয় বন বিভাগ।