ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০২৪ : নজরুলের কবিতার মতো নারী কেবল প্রেরণা আর শক্তি দিয়েই নারী পুরুষের পাশে থাকেনি। কখনও কখনও পুরুষকে পাশে নিয়ে নিজেরাও হয়েছেন জয়ী। তবে সামাজিক রীতিনীতি,পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব নারীর জয়ের পথে হয়েছে বাধা। যারা সেই বাধা জয় করতে পেরেছেন; তারা বলছেন পরিবর্তনের জন্য পরিবারের ছায়াটা অন্তত দরকার।
Advertisement
আদিকাল থেকেই কৃষিকাজে পুরুষের সহযোগী ছিলেন নারী। কিন্তু সমাজ একজন পুরুষকে কৃষক হিসেবে মর্যাদা দিলেও ঘর সামলানো দায়টা দিয়েছে নারীকে। যদিও কেউ কেউ সেটিকে অতিক্রম করেছেন।
টাঙ্গাইলের নাজনিন আক্তার। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী হিসেবে চাকরি করলেও বিয়ের পর তা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তারপরও দমে যাননি। বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ আর উঠানে মুরগির খামার। এই ছিলো শুরু। সেই নাজনীন আজ প্রতিষ্ঠিত কৃষক।
তিনি জানালেন সংগ্রামের কথা। বললেন, মুরগির পাশাপাশি পুকুরে মাছ চাষও করি। এই দুটো জিনিস আমি ঘরে বসে করতে পারছি এবং এটি আমার জন্য সুবিধাজনক মনে হচ্ছে।
করপোরেট জগতে নিজের অবস্থানকে পোক্ত করেছেন দিলারা ফারুক। পান্ডা মার্টের হেড অব ক্যাটাগরি হিসাবে কাজ করা দিলারাকেও ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় সন্তান জন্মের পর চাকরি ছাড়তে হয়।
Advertisement
তিনি বলেন, আমি এই চ্যালেঞ্জটাকে ওভারকাম করেছি। সবসময় চেষ্টা করি সাকসেস সার্কেলটাকে কীভাবে মেনটেইন করবো, এক সঙ্গে মিলে ঘর ও অফিসকে ম্যানেজ করে।
সামাজিক বাধা ছিল যুক্তরাজ্যের সাসেস্কের একটি শহরের প্রথম বাংলাদেশি মেয়র হেন্না চৌধুরির বেলায়ও। তাকেও শুনতে হয় নারীদের বেশি পড়াশোনার দরকার নেই।
তিনি বলেন, আমার ভাগ্য এতোটা সহায় ছিলনা। লন্ডনে থেকেও কলেজে যাওয়ার অনুমতিও ছিলনা। কিন্তু ভেতরে জেদ ছিল যে, কিছু একটা করতে হবে।
কেবল ইচ্ছা শক্তিই একজন নারীকে কতোটা এগিয়ে নিতে পারে তার উদাহরণ প্রীতি চক্রবর্তী। স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হবেন। কিন্তু সফল উদ্যোক্তা হয়ে প্রতিষ্ঠা করেন একাধিক হাসপাতাল।
তিনি বলেন, এবার নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নারীতে বিনিয়োগ’। ১৯৬২ সালে আমার জন্ম। মেয়েরা কখনও প্রাধিকার পাবে না সেটা সেই সময় বাড়িতে কখনও অনুভব করিনি।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক হান্নানা বেগমের মতে নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে বাল্যকাল থেকেই। তিনি বলেন, গোড়া থেকেই শিক্ষার পরিবর্তন করতে হবে। যেকোনো পরিবর্তন আনতে হলে সেটা শিক্ষার মাধ্যমেই করতে হবে।
Advertisement
কেবল সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেই এমন হাজারো উদাহারণ তৈরি করতে পাবেন হাজারও নারী।