সাত কোটি টাকা মূল্যের কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার, আটক ৩

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৭ মার্চ ২০২৪  : পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৭ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। দেবীগঞ্জের বানুরহাট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় মূল্যবান মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি এ সময় মূর্তি বিক্রি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

আটককৃতরা হলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার বন্দিরাম এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে শাহীন শাহ (৪০), তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার আমানত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) এবং একই উপজেলার একরামুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫৫)।

Advertisement

পুলিশ জানায়, কষ্টিপাথরের মূর্তি বিক্রি চক্রের সদস্যদের ধরতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছিল গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এমনকি পুলিশ ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে বিক্রেতাদের সঙ্গে। কথামতো এদিন সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বানুরহাট এলাকার ওষুধ বিক্রেতা শাহীন শাহের ফার্মেসিতে ওই বিষ্ণুমূর্তিটি ব্যাগে করে দেখাতে নিয়ে আসেন তেঁতুলিয়ার হাবিবুর ও শহিদুল। তাদের দাবি, মূর্তিটি তারা পাথর উত্তোলনের জায়গায় পেয়েছেন।

Advertisement

পুলিশের সঙ্গে দরদাম করে দাম ঠিক হয় পাঁচ লাখ টাকা।

 

অন্যদিকে আগেই ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। ব্যাগে করে মূর্তিটি আনামাত্রই কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, কষ্টিপাথরের মূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি।

উচ্চতায় ২৯ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১১ ইঞ্চি। এটি বাজারমূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা।

Advertisement

পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওষুধ বিক্রেতা শাহীন দীর্ঘদিন ধরে এই মূর্তি বিক্রি চক্রের সঙ্গে জড়িত। আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় কয়েক মাস ধরে তার ওপর নজরদারি করি। এক পর্যায়ে ক্রেতা সেজে আজ তাদের হাতেনাতে আটক করি।

Advertisement

আটককৃতদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’