পাসপোর্ট ছাড়াই বাংলাদেশে ১০ ভারতীয় কীভাবে? (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৭ মার্চ ২০২৪  : অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের দায়ে ১০ ভারতীয় নাগরিককে রাজধানীর বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

Advertisement

ডিবি জানায়, ঈদ সামনে রেখে বাংলাদেশে বাজার ধরতে শুল্ক ছাড়া চোরাই পথে ভারতীয় শাড়ি ও পোশাক আনছেন তারা। ভারতে যাবার সময় তারা নিয়ে যাচ্ছেন চোরাই মোবাইল। চুরি হওয়া বেশ কটি দামি মোবাইল ফোন উদ্ধারের তদন্ত নেমে এসব চোরাই পণ্যের সন্ধান পায় ডিবি পুলিশ। হাতে নাতে আটক কারা হয় দশ ভারতীয় চোরাকারবারিকে। মেরুল বাড্ডার এই বাসাটিতে পণ্য সরবরাহ করতে এসে ডিবির জালে আটক হয় তারা। ভিসা দুরে থাক আটক পাঁচজনের কোনো পাসপোর্টও ছিলো না।

Advertisement

শুল্ক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভারত থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনে এসব ভারতীয় পণ্য আনা হচ্ছিলো। গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিকেরা হলেন রাজা শাও (৩৯), পঙ্কজ বিশ্বাস (৩৫), উৎপল মাইতি (২৫), সোনু বর্মণ (২১), দীপঙ্কর ঘোষ (২৪), রাজু দাস (২২), সুজন দাস (২৭), এস কে আজগর আলী (২১), লারাইব আশ্রাব (২১) ও সমরজিৎ দাস (৩০) । গ্রেপ্তার বাংলাদেশির নাম মুরাদ গাজী (২৮) ।

ডিবির লালবাগ জোনের উপকমিশনার মশিউর রহমান গত বুধবার রাতে অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ভারতে চুরি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১টি স্মার্টফোন, পাঁচটি ভারতীয় পাসপোর্ট, নগদ হাজার টাকাসহ বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল, কসমেটিক্স, থ্রি পিস, শার্ট, জুতা ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

মশিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ফারজানা হক ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজস্ব বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পিল ও জেল বিক্রি করে আসছে। নিম্নমানের এই সমস্ত সামগ্রীগুলো বিক্রয় সংক্রান্ত বহু রশিদ এবং রশিদ বই পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার ভারতীয় এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ী স্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে সমস্ত মালামাল গুলো জব্দ করেছে তার কোনটাই বৈধ পথে আনা হয়নি।

দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা প্রতিদিন ঢাকা শহরের বিভিন্ন ভিআইপি ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছিলাম, তাদের মোবাইল চুরি হচ্ছে। আমরা কিছু মানুষকে আটক করেছি। কিন্তু ফোন পাচ্ছিলাম না। দীর্ঘদিন ধরেই দেশ থেকে চুরি হওয়া ফোনগুলোর গন্তব্য খুজছিলো ডিবি। তাদের কাছে তথ্য ছিলো, চোরাই ফোনগুলোর আইএমই নম্বর পরিবর্তন করে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর ভারতের চুরি করা পো বাংলাদেশে বিক্রি করছিলো।

Advertisement

তিনি বলেন, পাসপোর্ট ছাড়া কীভাবে আসলো? এটা আমরা তদন্ত করছি। তারা কোনোরকম ট্যাক্স দেয় না। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হবে। যেহেতু কারা পাসপোর্ট ছাড়া এসেছে তাই পাসপোর্ট আইনে মামলা হবে।

হারুন বলেন, বাংলাদেশের আরও কারা কারা জড়িত তাদের বিষয়ে জানবো। গ্রেপ্তার করবো। তারা বলেছে, কাস্টমসে পাসপোর্ট রেখে দেয়। এটা আমরা তদন্ত করবো।

কী করে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া চোরাকারবারিরা যাওয়া আসা করছে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

এই ঘটনায় কাস্টমসের দুর্বলতার পাশাপাশি বাংলাদেশের কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখছে ডিবি পুলিশ।