শিক্ষার্থীকে গুলি করা সেই শিক্ষক বরখাস্ত (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি,বুধবার, ০৬ মার্চ ২০২৪  : সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

এতে বলা হয়, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিনের প্রভাষক ডা. রায়হান শরীফ। ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোশ ভাতা পাবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে সোমবার বিকেলে ক্লাস চলাকালীন আরাফাত আমিন তমাল (২২) নামের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করেন শিক্ষক শরীফ। এ ঘটনার পর অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করে। এছাড়া, আহত শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন আরেকটি মামলা করেন। এসব মামলায় শরীফকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে রয়েছেন।

Advertisement

সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, রায়হান শরীফকে পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠান।

তিনি আরও বলেন, আটকের সময় রায়হান শরীফের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮১টি গুলি, চারটি ম্যাগাজিন ও ১২টি বিদেশি চাকু জব্দ করা হয়।

Advertisement

রায়হান শরীফ আদালতে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, তিনি ওই শিক্ষার্থীকে গুলি করেছেন। তবে, ভয় দেখাতে পিস্তলটি বের করেছিলেন। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে গুলি বের হয়ে যায়।

গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সঙ্গেও কথা বলেছেন রায়হান শরীফ।

Advertisement

তিনি স্বীকার করেছেন, তার কাছে দুটি পিস্তল আছে। তবে, একটিরও লাইসেন্স নেই। বিভিন্ন সময় আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়টিও স্বীকার করেছেন তিনি।

এদিকে ছাত্রীদের রাতে ফোন করে উত্ত্যক্তের বিষয়ে জানতে চাইলে শরীফ তদন্ত কমিটিকে বলেছেন, ছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে এটা করতেন তিনি।

Advertisement

গুলির ঘটনার পর রায়হান শরীফের সাবেক ও বর্তমান কর্মস্থলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সার্বক্ষণিক নিজের সঙ্গে পিস্তল রাখতেন তিনি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের মারধর এবং গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ফাঁকা গুলি ছুড়তেন।