রাখাইনে ব্যাকফুটে জান্তা, ফ্রন্টলাইনে বিদ্রোহীরা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : পাকিস্তানের মতোই শান্তিতে নেই, এই অঞ্চলের আরেকটি দেশ মিয়ানমারও। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হটিয়ে ও কারাবন্দি করার পর বর্তমানেই তাঁরা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের জান্তারা। বিদ্রোহীদের দাপটে এখন তাদের জান ওষ্ঠাগত।

Advertisement

মিয়ানমারের সবগুলো বিদ্রোহী গোষ্ঠী আর বিরোধী সংগঠনগুলো এখন একট্টা হয়ে লড়ছে জান্তা সেনাদের বিরুদ্ধে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশকিছু শহর ও কয়েকটি প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদ্রোহীদের হাতে।

মিয়ানমারের জান্তা সরকার সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার তিন বছর পর ধারণা করা হচ্ছে যে, এই মুহূর্তে তারা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার করছে। এতটা কোণঠাসা পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে এর আগে আর পড়তে দেখা যায়নি। শুরুতে জান্তা ক্ষমতার দাপট দেখালে, পরে পরিস্থিতি উল্টে যায়।

Advertisement

02

আর সেই কথাই আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলো ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। তারা জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। বোমা হামলা করে তিনটি টাউনশিপে অবশিষ্ট চৌকি রক্ষা করার চেষ্টা করছে সেনা। তিন বাহিনী একসাথে বোমা হামলা অভিযান সমন্বয় করছে।

Advertisement

তবে আরাকান আর্মি জানিয়েছে, জান্তারা পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত তারা জান্তা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে থাকবে। জান্তা বাহিনী স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ থেকে রামরি শহরে বোমা হামলা করে যাচ্ছে যেটি আরকান আর্মিদের মতে মিয়ানমারের পশ্চিমের রাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বাধিক বোমা হামলার শিকার।

03

গেত বৃহস্পতিবার রাথেডাং টাউনশিপে জান্তা এবং আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে। একই দিনে সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে মংডু টাউনশিপের একই নামের একটি গ্রামের কাছে জান্তার বাওধি কোন ফাঁড়িতেও আরাকান আর্মি হামলা চালিয়েছে। এই ফাঁড়িটি মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের অধীনে ছিল।

Advertisement

আরাকান আর্মি দুই উচ্চপদস্থ জান্তা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদেরকে চিকিৎসা করাচ্ছে। তারা ১৩ নভেম্বর থেকে ১৭০টির বেশি জান্তা ঘাঁটি এবং ফাঁড়ি দখল করেছে। একই সাথে রাখাইন রাজ্যের ছয়টি শহর ছাড়াও চিন রাজ্যের শহর পালেটোতে জান্তা ঘাঁটি এবং ফাঁড়ি দখল করেছে আরাকান আর্মি।

আরাকান আর্মি তিনটি উপকূলীয় টাউনশিপ মংডু, রামরি এবং রাথেডাংতে জান্তার বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর পর রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ তীব্র হচ্ছে। আরাকান আর্মি এই ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে মিলে গণতন্ত্রকামীরা তৈরি করেছে- পিপল ডিফেন্স ফোর্স।

Advertisement

অন্যদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর একজোট হয়ে সংগঠিতভাবে হামলা চালায় দেশটির উত্তরের শান রাজ্যের জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু তিনটি বিদ্রোহী বাহিনী, যাদের এক সঙ্গে ডাকা হচ্ছে ‘থ্রি গ্রুপ অ্যালায়েন্স’ নামে। তারা একে নাম দেয় ‘অপারেশন ওয়ান জিরো টু সেভেন।