ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : পেশায় পিকআপ ভ্যানের চালক। তবে পরিচয় দেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)। মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর সঙ্গে। এ অবস্থায় গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই অবস্থান করছিলেন যুবক। পুলিশ জামাই পেয়ে আদর-আপ্যায়নেও কমতি রাখেনি শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু নিজেকে পুলিশের কর্মকর্তা জাহির করতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়ে গেছেন মনির মিয়া!
Advertisement
স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে থানায় খবর দিলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওমর ফারুক রাজু সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলে যান। এরপর যাচাই শেষে স্থানীয়দের নিশ্চিত করেন যে তিনি একজন ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা।
Advertisement
প্রতারণার শিকার ওই নারীর বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কবীর ভূলসোমা গ্রামে। অভিযুক্ত ওই যুবকের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার হিরণপুরের মাতাঙ্গ গ্রামে। তিনি ওই এলাকার প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে।
Advertisement
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনির নামে ওই যুবক গত রোববার রাতে শ্বশুরবাড়ির পাশেই মোড়ে একটি দোকানে বসেন। এলাকার নতুন জামাই হিসেবে স্থানীয়রা তাঁর সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা করেন। তখন তিনি নিজেকে ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দাবি করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশের পোশাক পরা ছবি, ভিজিটিং ও আইডি কার্ডও দেখান। কিন্তু তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে যাচাই করে ভুয়া প্রমাণিত হলে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।
Advertisement
এদিকে এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এসআই মো. ওমর ফারুক রাজু বাদী হয়ে প্রতারণার মামলা করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অপরাধে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।’
Advertisement
ওসি আরও বলেন, মনির নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আগেও তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় ছিনতাই ও হত্যা, ২০২২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অজ্ঞান করে লুট এবং ২০২৩ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন শাহআলী থানায় সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার মামলা রয়েছে।