ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,মঙ্গলবার,৩০ জানুয়ারি ২০২৪ : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে উত্তরার কালো পতাকা মিছিল থেকে সরিয়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এর আগে অবশ্য বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিলো, ড. মঈন খান আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বরং নিরাপত্তার জন্যই মঈন খানকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে মিছিল থেকে মঈন খানকে নিয়ে যায় পুলিশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব ‘রাজবন্দি’র মুক্তি, সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও ‘অবৈধ সংসদ’ বাতিলসহ ‘এক দফা’ দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর (জোন-২) বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে জানান, মঈন খানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাকে থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দিন জানান, মঈন খানকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বাসায় চলে যাচ্ছেন। তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। তার নিরাপত্তার জন্যই তাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয় মিছিল থেকে অন্তত ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় রাজধানীর সাতটি এলাকা থেকে মিছিল পরিচালনা করা হয়। বিএনপিসহ একই দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা আলাদাভাবে কালো পতাকা মিছিল করে।
Advertisement
বিএনপি সূত্রে এরইমধ্যে জানা গেছে সব জেলা ও উপজেলা শহর এবং মহানগরে কালো পতাকা মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি নেতারা জানান, জনগণকে নিয়ে এই সরকারের সব কর্মকাণ্ডকে প্রতিরোধ করা হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
Advertisement
সেই সময় তিনি বলেছেন, সব জেলা ও উপজেলা শহর এবং মহানগরে কালো পতাকা মিছিল করা হবে। জনগণকে নিয়ে এই অবৈধ সরকারের সব কর্মকাণ্ডকে প্রতিরোধ করতে হবে।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, সোমবার ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সকল প্রকার অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও যে কোন প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়।
যেসব এলাকায় ওই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিলো- ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং হতে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত হতে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্বপ্রান্ত হতে গ্রীন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় হতে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল।
Advertisement
রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল হতে পুরাতন নবম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত হতে মানিক মিয়া এভিনিউ’র পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এই সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমুদয় রাস্তা ও গলিপথ।