ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ : দ্বাদশ সংসদের ২০ শতাংশই স্বতন্ত্র এমপি। সংসদে তাদের ভূমিকা কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা করবেন নাকি দলের অনুগত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়েও দোটানায় আছেন তারা। তবে, রোববার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পরই সব স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তারা।
Advertisement
নির্বাচনকে অংশগ্রহণ মূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার দলের নেতারাই স্বতন্ত্র নির্বাচনের গ্রিন সিগন্যাল পান। ভোটের মাঠে ১৫০টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকা আর লাঙ্গলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। তার মধ্যে ৬২ জন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদে পৌঁছেছেন।
এখন সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কী ভূমিকা নিবেন। সরকার দলে যুক্ত হবেন নাকি বিরোধী দলে বসবেন, না স্বতন্ত্র হিসেবেই রয়ে যাবেন সেটাই এখন প্রশ্ন।
Advertisement
মাদারীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম জানান, বিশেষ নির্দেশনা না আসলে তিনি বিরোধী দলে যেতে চান না।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন দলে ছিলেন দলেই আছেন সেই সাথে তারা দলীয় কর্মকাণ্ড যুক্ত হতেও চান। সব কিছুর পরে দলীয় নেতার নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
গাইবান্ধা ১ আসনের নাহিদ নিগার বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা নির্দেশনা দিবেন আমরা সে অনুযায়ীই কাজ করবো।
ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীও জানালেন একই কথা। তিনি দলের নির্দেশনা মতোই কাজ করতে চান।
আসছে রোববার সংসদ নেতা গণভবনে বসছেন এই স্বতন্ত্র সদস্যদের সাথে। সেখানেই দিক নির্দেশনা পাবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
Advertisement
ফরিদপুর ৪ সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, আমরা বিরোধী দল হতে মোটেও ইচ্ছুক না। তারপরেও সকল সিদ্ধান্ত আমাদের অভিভাবক দিবেন। তার নির্দেশনাতেই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
ফরিদপুর ৩ আসনের একে আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন। তিনি আমাদের মতামত জানতে চাইলে আমরা আমাদের মতো মতামত জানাবো।
৬২ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জনই দলীয় পদে থেকে নির্বাচন করেছিল।
বিএনপিবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে আরও ২৬টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এসব দলের মধ্যে ক্ষমতাসীনদের ১৫ বছরের জোটসঙ্গী জাসদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি যেমন ছিলো, তেমনি ছিলো দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জাতীয় পার্টিও।
এছাড়া ‘কিংসপার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি-সহ বেশ কয়েকটি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়।
Advertisement
নির্বাচনে ২২২টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। এরপর সবচেয়ে বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।